
কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোর সন্দেহে আলমগীর মিয়া (২৬) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) গভীর রাতে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই যুবক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আলমগীর কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) বিকেলে তার চাচাতো ভাই আবু রায়হান কুলাউড়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১১ মে আলমগীর স্থানীয় নয়াবাজার এলাকা থেকে পথ ভুল করে ছকসালং গ্রামে চলে যান। ১৩ মে রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন তাকে চোর সন্দেহে আটক করে এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।
আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, আমার ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ভোরে সে বাড়িতে আসে। শরীরে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। সে বলেছে, অনেকবার বলেছে সে চোর নয়, তবুও কেউ শোনেনি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লোকজন মারধর করেছে। এলাকায় সম্প্রতি দুটি চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং ওইদিন দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। পরে বুঝতে পারি ছেলেটি প্রতিবন্ধী, তখন তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কনক কান্তি সিনহা বলেন, আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার