
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে মেঘালয় থেকে ভেসে আসে কয়লা। আর সেই কয়লা কুড়াতে সীমান্ত এলাকার মানুজনের উৎসব তৈরি হয়।
সোমবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে ভারতের উজানে ভারী বর্ষণের ফলে মেঘালয় রাজ্যের ঢলের পানি তাহিরপুর সীমান্ত হয়ে যাদুকাটা নদী, কলাগাঁও, বড়ছড়া ও চারাগাঁও ছড়া দিয়ে নেমে আসে। এই ঢলের পানির সাথে মেঘালয় রাজ্যে থেকে ভেসে আসে বালিমিশ্রিত কয়লা ও পাথর।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার মধ্যরাত থেকে ভারতের উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামছে সীমান্তের বিভিন্ন নদ-নদী দিয়ে। উজানের ভারী বর্ষণের ফলে মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পানির সাথে প্রচুর পরিমান বালিমিশ্রিত কয়লা ও পাথর আসছে। আর সেই পাথর কুড়াতে হিড়িক পড়ে গেছে স্থানীয় শ্রমজীবী নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে। তারা মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্ত এলাকায় এসব কয়লা ও পাথর কুড়াতে স্থানীয় শ্রমজীবী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঢলের পানির সাথে নেমে আসা কয়লা কুড়ানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন অনেকে।
স্থানীয় শ্রমিকরা বলছেন, মেঘালয় থেকে আসা এই কয়লাগুলোকে স্থানীয়ভাবে ‘বাংলা কয়লা’ বলা হয়। প্রত্যেকবার পাহাড়ি ঢল আসলে এই ঢলের পানিতে বালুকের সাথে কয়লা ও পাথর আসে। শ্রমিকরা মেঘালয় থেকে নেমে আসা কয়লা নদী থেকে কুড়িয়ে সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের কাছ থেকে এসব কয়লা কিনে নেন। একজন শ্রমিক গড়ে দৈনিক ‘৪-৫’ বস্তা কয়লা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতিটি বস্তা ২শ’ ৫০টাকা থেকে ৩শ’ টাকায় বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, ‘এই সময়টাতে উজান থেকে ঢলের পানিতে প্রচুর কয়লা ভেসে আসে। অনেকে এই কয়লা কুড়িয়ে কিছুটা রোজগারের সুযোগ পান। তবে স্থানীয়ভাবে এখানে বিক্রি করতে গেলে সমস্যা হয়। তখন প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়। তাই তারা লুকিয়ে বাহিরের কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে এগুলো বিক্রি করেন।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার