
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:
বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭ নং মাথিউরা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১ম প্যানেল চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন।
বুধবার (২১ মে) সকালে মাথিউরা ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিনকে নিয়মিত অফিসে না পাওয়ায় নাগরিক সেবা পেতে জনগণের দুর্ভোগ তীব্র হয়।
গত ১৯ মে স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. নূরে আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নিহতের ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতিকে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, আমি ৩ নং ওয়ার্ডে জনগণের ভোটে ৬ বারের নির্বাচিত মেম্বার। আমার দায়িত্বের উর্ধ্বে গিয়েও যতটুকু সম্ভব জনগণের সেবায় কাজ করেছি। ইউনিয়নের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান পরিষদ চাচ্ছে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করি। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১ম প্যানেল চেয়ারম্যান থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে দায়িত্ব পেয়েছি। নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই মূলত আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, জনবিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন মানুষের সাথে আমার ছবি যুক্ত করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের দাবি নিয়ে গত সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়েছে। ছবির সাথে মানুষকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো ব্যক্তি ইমেজ বিনষ্টের পন্থা এটি সমীচীন নয়। সকলের সহযোগিতা নিয়েই কাজ করতে চাই।
আলতাফ হোসেন বলেন, প্রশাসনিক ভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন যদি পুণঃরায় তাঁর পদ ফিরে পান আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে সরে যাবো।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার