
বড়লেখা সংবাদদাতা:
আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল। এতে পাঁচটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের কাছে হস্তান্তর করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১৬ জুন) রাত ৯টায় এই তালিকা হস্তান্তর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত এবং কমিশন সদস্য বকসি মিসবাহ উর রহমান। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হেলু মিয়া, জেলা যুবদল নেতা জিল্লুর রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মুকিত জানান, পাঁচটি পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউকে বাদ না দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান মজনু। সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন সাদিকুর রহমান, আব্দুল করিম ঈমানী, রুহেল বক্স এবং শাহ ফখরুজ্জামান।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমেদ ও সদস্য রানা খান শাহীন। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান, শফিউর রহমান, সেজুল আহমেদ, মো. জিল্লুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন বদরুল ইসলাম, মো.আব্দুর রহমান সোনাওর, কাজল মাহমুদ ও তোফায়েল আহমদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মুকিত ও নির্বাচন কমিশনার বকসি মিসবাহ উর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২২ জুন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী একজন করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন। মোট ছয়টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৯২৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের ওপর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তৃনমুলের নেতৃবৃন্দরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করবেন। তিনি বলেন, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে । নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক সম্মেলন আমাদের প্রমাণ করে দিয়েছে—দলীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে মৌলভীবাজার বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।
বিভক্ত দলীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যদি এই ঐক্য ধরে রাখা যায়, তবে আগামী জাতীয় রাজনীতিতেও মৌলভীবাজারের বিএনপি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার