স্টাফ রিপোর্টার:
তার বাড়ি বরিশালের মুলাদি থানায়। নাম আনোয়ার হোসেন (৩৬)। কাজ করতেন একটি বেসরকারি কোম্পানীতে। সংসারের দায়িত্ব পালনে নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষ এখন আর নেই। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ঝরেছে তার লাশ।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে ফিরছিলেন সিলেট শহরের দিকে। কিন্তু জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে যে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাবে চীরকালের মতো, তা কি কেউ জানতো? তিনি নিজে জানতেন? জানতেন না।
হঠাৎ ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন রাজপথে। তারপর সব শেষ! হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
আর ঘাতক ট্রাকটি ছুটে চলে নির্মম নিষ্ঠুর এক দানবের মতো। তবে বেশিদূর যাওয়া হয়নি তার। করিচের ব্রিজে পৌঁছার পর ট্রাকটি আটক করেন এলাকাবাসী। তবে যথারীতি চালক ও হেল্পার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে তামাবিল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে মামলা হবে এবং চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও চলছে।
এদিকে এ দুর্ঘটনার পর জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকাবাসীর পক্ষে বেশ কয়েকজন এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন। তারা জানান, দিনে দিনের মৃত্যুপুরী হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে এই মহাসড়ক। দুর্ঘটনায় প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
তবে সে তুলনায় হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা অতোটা জোরালো নয়। তাদের তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সব ধরনের যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের পাশপাশি এ কাজে বেসরকারি সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।