স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন (৩৫) উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের হালিমাতুস সাদিয়া মহিলা মাদরাসার পরিচালক।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে চাটখিলের মস্তান নগর এলাকায়। ঘটনার পর মাদরাসাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই মাদরাসা পরিচালনা করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে আবাসিক ছাত্রীদের হল ঘরে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। ছাত্রীটি জেগে উঠে চিৎকার করলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার বিকেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদরাসা চত্বরে গিয়ে তাকে ধরে গণধোলাই দেন।
পরে পুলিশ এসে গুরুতর আহত অবস্থায় সাখাওয়াত হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে আমার মেয়ের সঙ্গে যা করেছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল, কিন্তু অনেকে ভয়ে মুখ খুলতো না।’
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাকে সম্মান করতাম। কিন্তু এমন ঘৃণ্য কাজের কারণে শুধু তার নয়, সব মাদরাসার বদনাম হচ্ছে।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। তদন্ত শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।’
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।