
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাচালানবিরোধী পুলিশের অভিযানের পর দায়ের হওয়া একটি মামলাকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অভিযুক্তদের কেউ কেউ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মামলা সংশোধনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন। অপরদিকে থানার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত (২৮ জুন) রাতে নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল মহিষমারা হাওরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৭টি ভারতীয় চোরাচালানের মহিষ জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। প্রথমে ৮ জনের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পরবর্তী সময়ে আসামির তালিকা পরিবর্তন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া দুজন ব্যক্তি দাবি করেন, তারা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত নন এবং বিনা কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের ভাষ্য, তারা নিরীহ মানুষ। অন্যায় ভাবে মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। আর প্রকৃত আসামিরা অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছে।
অপরদিকে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ দমনে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না এবং তদন্তের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কেউ যদি মামলা পরিচালনায় অনিয়মের কোনো প্রমাণ দিতে পারেন, তা হলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে করা হবে।
ভুক্তভোগীরা তাদের অবস্থান ব্যখ্যা করে ন্যায়বিচারের দাবি জানালেও থানা প্রশাসন বলছে, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার