Daily Jalalabadi

  সিলেট     সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে যানশূণ্য সড়ক, ভোগান্তিতে মানুষ

admin

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫ | ১২:৪৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ | ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে যানশূণ্য সড়ক, ভোগান্তিতে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ, সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে সিলেটে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে সিলেটের সকল সড়ক যানশূণ্য হয়ে পড়েছে।

ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের কদমতলী ও কুমারগাঁও টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অনেক যাত্রী টার্মিনালে গিয়ে ভিড় করেন বাস কাউন্টারগুলোতে। কিন্তু বাস না পেয়ে হতাশ হয়ে তারা ফিরে আসেন। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও যাত্রীদেরকে জানাতে পারেননি কবে ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে। তবে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন তাদের ৬ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

এদিকে, যাত্রীরা বাস না পেয়ে জরুরি কাজে অনেকে কার-মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটেছেন। তবে অন্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার সিলেটে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা চলাচল ছিল কম। যেসব অটোরিকশা চলাচল করেছে সেগুলোও ভাড়া চেয়েছে দ্বিগুণ।

নগরীর হুমায়ূন রশিদ চত্বরে কথা হয় আবদুল আলীম নামের এক যাত্রীর সাথে। আবদুল আলীম ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি জানান, বাস না পেয়ে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে অফিসে যাচ্ছেন।

অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে ভিড় করেন রেলস্টেশনে। কিন্তু টিকেট না পেয়ে তাদেরকেও ফিরতে হচ্ছে শূণ্য হাতে। রেলওয়ে স্টেশনে আনোয়ার হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, জরুরি কাজে তাকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। বাস না পেয়ে রেলের টিকেট কাটতে এসেছিলেন। কিন্তু টিকেট পাননি।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান ২৫ বছর, সিএনজি অটোরিকশা ও হিউম্যান হলারের ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল এবং গণ ও পণ্য পরিবহনের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সকল ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে জব্দকৃত পাথর ও বালুর ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার, সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সকল ধরণের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধ করা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!