Daily Jalalabadi

  সিলেট     বুধবার, ৯ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণমাধ্যম কি ভিকটিমের সুরক্ষা দেয়?

admin

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১২:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১২:০৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
গণমাধ্যম কি ভিকটিমের সুরক্ষা দেয়?

রাহাত মিনহাজ :
সাংবাদিকতা একটি অতি সংবেদনশীল পেশা। দায়িত্ব পালনে সামান্য ভুল ও শিথিলতা যেকোনো মানুষের জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। একজন ভিকটিম বা অভিযুক্তের জীবনকে রূপান্তর করতে পারে সাক্ষাৎ নরকে। তাই এ বিষয়ে সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল পেশাদার আচরণ সবারই কাম্য। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ফয়েজ আহমদ। ‘মধ্যরাতের অশ্বারোহী’ নামে পরিচিত এই গুণী সাংবাদিক বাংলাদেশের সাংবাদিকতা নিয়ে নানা ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছেন। মধ্যরাতের অশ্বারোহী নামেই তার একটি অনবদ্য আত্মজীবনী গ্রন্থ রয়েছে। এই গ্রন্থে সত্যবাবু মারা গেছেন নামের একটি নিবন্ধে তিনি অপসাংবাদিকতা, অসংবেদনশীল সাংবাদিকতা কীভাবে একজন মানুষের জীবন একটি পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে তার একটি করুণ জীবনকাহিনী বর্ণনা করেছেন। এই মর্মান্তিক কাহিনীর প্রধান চরিত্র বরিশালের সিনিয়র সাব-জজ মি. সান্যাল।

ঘটনাটি ১৯৬৯ সালের। ওই বছর যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার পথে এক সম্ভ্রান্ত নারী আটক হন। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় ছয় হাজার পাকিস্তানি টাকার নোট ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার। এই টাকা ও অলংকার তিনি বহন করছিলেন মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে। শুল্ক বিভাগ দাবি করে ওই টাকা ও অলংকার যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নেওয়া হয়নি। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আর এই গ্রেফতারকে বিশাল অর্জন দাবি করে পুরো ঘটনা, আটককৃত ওই নারীর স্বামীর নাম পরিচয়সহ সাংবাদিকদের জানিয়ে দেয় শুল্ক বিভাগ। সাংবাদিকও কোনো কিছু বিবেচনা না করে ওই নারীর স্বামীর নাম পরিচয়সহ সংবাদ পাঠিয়ে দেন ঢাকা অফিসে। পরের দিন খবরও প্রকাশিত হয়। সকালে সংবাদপত্রের পাতায় সেই খবর পড়ে আদালতে আসেন সাব-জজ মি. সান্যাল। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে তার সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেন।

আদালতের সহকর্মীরা তাকে আশ্বস্ত করেন, এরসাথে তো আর তিনি জড়িত নন। এটা একটা ভুল। কিন্তু সারাদিকের বিচারিক কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক সান্যাল তার সহকর্মীদের বলে যান, সব বিচার বিভাগের ওপর কলঙ্ক এসে পড়েছে। যেজন্য মানুষ বাঁচে তাই আমি হারিয়েছি। কলঙ্কময় এ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার অর্থ নেই। পরের দিন সকালে বরিশাল শহরে একটি শোকের খবর ছড়িয়ে পড়লো- জজ সান্যাল বাবু আত্মহত্যা করেছেন। (সত্যবাবু মারা গেছেন, মধ্যরাতের অশ্বারোহী, ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব, পৃষ্ঠা ৬৪-৬৫)

যেকোনো অপরাধ বা সহিংসতামূলক সংবাদে সংবেদনশীলতা অপরিহার্য। যদি নারী বা শিশু কোনো চরিত্র হন তাহলে আরও অধিক সতর্কতা অপরিহার্য। একটু অসতর্কতা, এক মুহূর্তের ভুল কারও জীবনের সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধন করতে পারে। সামাজিক জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ। যার উদাহরণ এখন মাঝেমধ্যেই আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে। নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করছে নেতিবাচক সাংবাদিকতাকে।

ক্লিকবেইট, লাইক, শেয়ার আর অনলাইন থেকে রাজস্ব আদায়ের অশুভ প্রতিযোগিতার এই যুগে ভিকটিম বা অনেক ক্ষেত্রে অপরাধী হিসেবে অভিযুক্তের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার সাংবাদিক নন এমন অনেক অনলাইন প্রচারকারীও এ রকম সংবেদনশীল ঘটনার ক্ষেত্রে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে অনলাইন বিশেষ করে মেটা প্ল্যাটফর্মসহ (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, থ্রেডস) নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

যে আধেয় বা কনটেন্টগুলো আবার দেদারসে শেয়ার করছেন স্বল্প গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিকেরা। যা পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলছে। এখানে বলে রাখা ভালো, বর্তমানে বাংলাদেশে পেশাদার সাংবাদিকের অনলাইন আধেয় বা কনটেন্ট এবং অপেশাদার অনলাইন প্রচারকারীদের আধেয় বা কনটেন্ট আলাদা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সমাজের বড় একটি অংশের মানুষ এই দুই ধরনের আধেয় বা কনটেন্টের পার্থক্যই করতে পারেন না। অনেকেই আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আধেয় বা কনটেন্ট (ইউজিসি: ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট) ও সংবাদ আধেয় বা কনটেন্টর মধ্যে নূন্যতম ফারাক খুঁজে পান না। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিসরকে অত্যন্ত জটিল ও দূষণীয় করে তুলেছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সাংবাদিকতার মান। লঙ্ঘিত হচ্ছে ভিকটিম এবং অভিযুক্ত অপরাধীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়বদ্ধতা ও করণীয়-বর্জনীয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। প্রযুক্তির বিকাশে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই ধরনের নীতিমালা একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়। এ বিষয়ে ইউনেস্কোর সবশেষ প্রকাশনা হলো Reporting on violence against women and girls: A handbook for journalists. এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে, যা আবার ২০২৪ সালে পরিমার্জন করা হয়েছে।

ইউনেস্কোর এই নির্দেশিকায় ভিকটিম বিশেষ করে নারী ও শিশু ভিকটিদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে বিশেষ সতর্কতার তাগিদ দিয়েছে। অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে, জোরপূর্বক বিয়ে, ধর্ষণ ও নানা ধরনের যৌন নিপীড়ন, সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক সম্মান রক্ষায় হত্যা (Honor killing), প্রতিশোধমূলক পর্ণগ্রাফি (Revenge porn), নারী চোরাচালান, স্বামী বা অন্যান্য আপনজন কর্তৃক নির্যাতন, এমনকি সাইবার পরিসরে বুলিং ও নিপীড়নের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

নির্দেশনা আছে অনলাইনে নারীদের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে নির্দেশনা; যেখানে বলা হয় ছবি ভিত্তিক যৌন হয়রানির (image-based sexual abuse) বিষয়ে ইউনেস্কোর এই নির্দেশনাগুলো খুবই বিস্তারিত ও যথাযথ। সংক্ষিপ্ত পরিসরে ধর্ষণের শিকার বা নানা ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে ঠিক কোন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তা উল্লেখ করা জরুরি।

ইউনেস্কোর সাধারণ দিকনির্দেশনায় প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারী ও শিশু বিষয়ক সহিংসতাগুলো নিয়ে আলোচনার (address gender-based violence)। সহজ কথায় যেকোনো ধরনের নির্যাতনের বিষয়কে চাপিয়ে রাখা যাবে না। আমরা সহজেই বুঝতে পারি, বাংলাদেশের মতো অনুন্নত ও অনেক উন্নয়নশীল দেশে ধর্ষণসহ নানা ধরনের যৌন নিপীড়ন ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা সহজ নয়। কিন্তু ইউনেস্কো বলছে সংবাদকক্ষে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে, চাপিয়ে রাখা যাবে না।

ইউনেস্কো উল্লেখ করছে, যৌন সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাই আন্তর্জাতিক কাঠামোতেও এই অপরাধগুলো সম্পর্কে যথাযথ তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরা প্রয়োজন। এরপরের দিকে এইসব সংবেদনশীল বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে ইউনেস্কো। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম—

১। সংবাদ প্রকাশের সময় যথাযথ শব্দচয়ন করা। এক্ষেত্রে যাতে কোনো অবস্থাতেই ভিকটিমের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

২। কোনো বিষয়ে চাঞ্চল্য তৈরি না করে যথাযথ প্রেক্ষাপট তুলে ধরা।

৩। যৌন সহিংসতার অপরাধের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অবস্থাতেই গোপন ক্যামেরা বা রেকর্ডার ব্যবহার করা যাবে না। এটা খুবই গর্হিত কাজ।

৪। কোনো বিষয়ে নীতি বাক্য বা নির্দেশনা না দেওয়া। যেমন রাতে বাইরে বের হওয়া ঠিক হয়নি। স্বামীর সাথে ঝগড়া করার দরকার ছিল না। কোনো সম্পর্কে জড়ানো উচিত হয়নি—এমন কিছু।

৫। ভিকটিমের দোষ না খুঁজে সেবা এবং সমাধান বিষয়ক (Service Journalism and Solutions Journalism) সাংবাদিকতার চর্চা করা।

৬। প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যাপ্ত সময় নেওয়া। মনে রাখা প্রয়োজন বর্তমান অনলাইন প্রতিযোগিতার যুগে বিশেষ চাপ থাকতে পারে। কিন্তু এই চাপ সামাল দিয়ে সবদিক বিবেচনা করেই একজন শিফট ইনচার্জ বা সহ-সম্পাদককে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যাপ্ত সময় নেওয়া। মনে রাখা প্রয়োজন বর্তমান অনলাইন প্রতিযোগিতার যুগে বিশেষ চাপ থাকতে পারে। কিন্তু এই চাপ সামাল দিয়ে সবদিক বিবেচনা করেই একজন শিফট ইনচার্জ বা সহ-সম্পাদককে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এছাড়া আরও নানা বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর Reporting on violence against women and girls: A handbook for journalists নির্দেশিকায়। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম কীভাবে একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেবেন একজন ভিকটিমের।

ভিকটিমের সাক্ষাৎকার

ইউনেস্কোর নির্দেশিকায় এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটি ১৯৬১ সালের যা সংঘটিত হয়েছিল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে। Anybody here been raped and speaks English?—গৃহযুদ্ধ জর্জরিত দেশটিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এভাবেই প্রশ্ন করেছিলেন একজন সাংবাদিক। এটা ছিল একজন পেশাদার সাংবাদিকে চূড়ান্ত অপেশাদার আচরণের নমুনা।

এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যুদ্ধ বিপর্যস্ত, নিপীড়িত-নির্যাতিত নারীদের নারীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকরা এখন বিভিন্ন ধরনের চাপে থাকেন। তারা সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক ঘটনাটি তুলে ধরতে উদগ্রীব থাকেন। তারা দ্রুত মূল ঘটনায় পৌছাতে চান, যাকে ইউনেস্কো বলছে Hit the Mark প্রবণতা।

সাধারণত এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তারা ভিকটিমের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার কথা ভুলে যান। যাতে দ্বিতীয় দফা ভীতিকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় একজন ভিকটিমকে। যাতে একাডেমিক ভাষায় বলা হয় দ্বিতীয় দফায় অপরাধের শিকার (Secondary Victimization)। বাংলাদেশে নানা বাস্তবতায় বহু মানুষকে আমরা সংবাদের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় অপরাধের শিকার হতে দেখছি। যার প্রবণতা বাড়ছেই।

এই নির্দেশনায় একজন ভিকটিমের অধিকার ও সম্মানের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাদিগ দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের বাস্তবতায় খুবই জরুরি। ইউনেস্কো সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো;

১। সাক্ষাৎকারদাতা ভিকটিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২। নাম-পরিচয় গোপন রাখা।

৩। বিভিন্ন ধরনের বিবরণ প্রকাশে সতর্ক থাকা।

৪। সাংবাদিকের নিজের নাম-পরিচয় প্রদান করে যোগাযোগের মাধ্যম বলে দেওয়া। যাতে কোনো বিপদে সেই ভিকটিম সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৫। ভিকটিমের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ইউনেস্কো ছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ভিকটিমেদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশে নানা ধরনের নির্দেশনা ও সুপারিশ তুলে ধরেছে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন সংস্থা Our Watch। তাদের Guidelines for reporting on violence against women এই শিরোনামের নির্দেশিকাটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা ইউনেস্কোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে এখানে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো না।

সহায়ক:-

১। আহমদ, ফয়েজ (২০০৩), মধ্যরাতের অশ্বারোহী, সত্যবাবু মারা গেছেন, ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ।

২। Reporting on violence against women and girls: A handbook for journalists, UNESCO (2019), Retrieved on 7th July 2025, https://unesdoc.unesco.org/ark:/48223/pf0000371524/PDF/371524eng.pdf.multi

রাহাত মিনহাজ : সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন