নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে চা দিতে দেরি হওয়ায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারীকে ছুরিকঘাতে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী আব্বাস মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক রোকনুজ্জামান তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আব্বাসের চার ছেলে ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা। এখনো তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আব্বাস মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করে কোতোয়ালী থানাপুলিশ। শুনানী শেষে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে, রবিবার দুপুরে আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। আব্বাস নগরীর কাজিরবাজারের বাসিন্দা। রবিবার সকালে কাজিরবাজার মাছবাজারের পাশে নিরু বাবুর রেস্টুরেন্টে নাশতা করতে যান আব্বাস মিয়া। এসময় চা দিতে দেরি হওয়ায় কর্মচারী দিনার আহমদ রুমন (২২) এর সাথে আব্বাস মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া ঘটনাটি ফোনে তার ছেলেদেরকে জানান। খবর পেয়ে ছেলেরা এসে হামলা চালায় রুমনের উপর। তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় রুমন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুমন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সব্দলপুরের মৃত তখলিছ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনায় আব্বাস মিয়া ও তার ছেলে খোকন, রুহান, মোহন ও রোকনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে মামলা হয়। রবিবারই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আব্বাস মিয়াকে গ্রেফতার করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামী আব্বাসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।