
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশের একটি ডোবা থেকে এক অন্তস্বত্তা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পে মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে সোহাগ ওরপে রমজান মিয়ার স্ত্রী এবং আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে মায়েশা (২০)।
পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মরদেহ পার্শ্ববর্তী ডোবার কচুরিপানার ভেতরে লুকিয়ে রাখে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে মাধবপুর সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পে মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে সোহাগ ওরপে রমজান মিয়া প্রেম করে মায়েশাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। প্রায় ১০দিন আগে মায়েশা নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না মায়েশার। অবশেষে ১০ দিন পর সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশের একটি ডোবা থেকে মায়েশার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ডোবার ভিতরে কচুরিপানার মধ্যে একটি মৃত দেহের দুটি পা বের হয়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহত মায়েশার স্বজনরা এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বাশুরী রুমানা (৫২) কে আটক করেছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ উল্লা বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে হবিগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার স্ত্রী রুমানাকে (৫২) আটক করা হয়েছে। মায়েশার স্বামী সোহাগ ওরফে রমজান মিয়া পলাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার