Daily Jalalabadi

  সিলেট     সোমবার, ৪ঠা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেদিন ঘাতকের গুলিতে নিঃশব্দে ঝরে যায় তাদের প্রাণ

admin

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৫ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
সেদিন ঘাতকের গুলিতে নিঃশব্দে ঝরে যায় তাদের প্রাণ

ফেনী সাংবাদদাতা:
৪ আগস্ট ২০২৪। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন ছাত্র-জনতা। আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে বৈষম্যবিরোধী নানা প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জনপদ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুকে ও মাথায় দেশের পতাকা জড়িয়ে আন্দোলনে যোগ দেন শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ।

সেই দুপুরে হঠাৎ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে চলে ঘাতকের গুলি। একের পর এক বুলেটে থেমে যায় একেকটি সাহসী তারুণ্যের গল্প। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলিতে প্রাণ হারান ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সরওয়ার জাহান মাসুদ, মো. সবুজ, ছাইদুল ইসলাম শাহী, জাকির হোসেন শাকিব ও ওয়াকিল আহম্মদ শিহাব। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম। ৭ আগস্ট বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।

ঘাতকের মুহুর্মুহু গুলিতে মুহূর্তেই রক্তে রঞ্জিত হয় মহিপালের প্রতিবাদী রাজপথ। বারুদের গন্ধে শহরজুড়ে নেমে আসে স্তব্ধতা। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে একের পর এক মরদেহ আসার সঙ্গে পড়ে যায় কান্নার রোল। ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ সেই রক্তাক্ত দিনের বছরপূর্তি। হৃদ্যতায় জড়ানো সন্তানকে হারিয়ে এখনো কাঁদছেন এসব শহীদের পরিবার।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মাথায় মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে মহিপালে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে পথচলা তরুণ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ। এক বছর পার হলেও একমাত্র ছেলে সন্তানের স্মৃতি জড়িয়ে এখনো চোখের কোণে অশ্রু ঝরছে তার মা ফাতেমা আক্তার শিউলির। তিনি বলেন, ৪ আগস্টের পর থেকে সব আনন্দ চলে গেছে। আমাদের গোছানো একটা জীবন অগোছালো হয়ে গেছে। জীবনের সব আনন্দ ওইদিনই শেষ হয়ে গেছে। বড় মেয়েটি সারাক্ষণ একা একা বসে কান্না করে, শ্রাবণই ছিল তার ভাই-বন্ধু। মেয়েটি কাউকে কিছু বোঝাতে পারে না এখনো। ভাইয়ের শোকে কারো সঙ্গে কথা বলে না। আমার আনন্দ বা সুখ-আহ্লাদ সবকিছু আমার ছেলের কাছে রয়ে গেছে।

শহীদ ছাইদুল ইসলাম শাহীর মা রাহেনা বেগম বলেন, সেদিন ঘর থেকে বের হওয়ার আগে শাহী আমার কাছে ২৫ টাকা চেয়েছিল। ওই টাকা দিলে সে আবার শহর থেকে ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে বলেছিল। কিন্তু আমার ছেলে আর ফিরতে পারেনি। ঘাতকরা তাকে মেরে ফেলেছে।

শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার বলেন, মৃত্যুর আগে আমার ছেলে সর্বশেষ বাড়ি আসার পর চুল কেটে আসতে বলেছিলাম। হয় তো বুঝে গিয়েছিল সেদিনই সে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ঘাতকদের তিনটি গুলিতে আমার আদরের সন্তানের বুক ঝাঁঝরা হয়েছিল।

শহীদ মাহবুবুল হাসান মাসুমের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আবার অনেকে ধরা পড়লেও জামিনে বের হয়ে যায়। অনেক সময় কোর্টের পিপি ও রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে জামিন পান। এটি আমাদের জন্য বড় আক্ষেপ। আমাদের ভাইয়েরা পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছেন। কিন্তু এখনো সব আগের মতোই চলছে।

সেদিন মহিপালের ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাননি আহতরা। অনেকে হাসপাতালে গিয়েও আবার হামলার শিকার হন। আন্দোলনে আহত নূর হোসেন নামে ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, মহিপালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম। তখন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করেছে। আহতদের চিকিৎসা দিতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেছে।ঘটনার দুই দিন পর চিকিৎসা নিয়েছিলাম।

ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, আমাদের ভাইয়েরা যে উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন সেটি এখনো দৃশ্যমান হয়নি। শহীদদের রক্তের ওপর এই সরকার গঠিত হয়েছে। তাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল আসামিদের বিচারের আওতায় আনা। সরকার এ বিষতে গাফেলতি করছে। নির্বাচনের আগে দেশে মৌলিক সংস্কার ও গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনে ফেনীতে হতাহতের সংখ্যা অন্য জেলার চেয়ে তুলনামূলক বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক, চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে হতাহতদের এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শহীদরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা কখনো অবমূল্যায়ন করা হবে না।

হতাহতের ঘটনায় ২২ মামলা, একটিতে চার্জশিট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। তারমধ্যে ৭টি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। ফেনী মডেল থানায় করা এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জন এজাহারনামীয় ও আরও ৪ হাজার অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ২২টি মামলায় এক হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কলেজ শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম (২৫) হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে ২২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। আইনানুযায়ী মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। যেসব আসামি দেশের বাইরে চলে গেছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে যারা এখনো দেশে অবস্থান করছে, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তারাই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এখানে কে কোন রাজনৈতিক দলের তা বিবেচনা করা হয়নি।

সেদিন যেমন ছিল ফেনীর চিত্র
গত বছরের ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা কর্মসূচির সমর্থনে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। ফ্লাইওভার এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে জোহরের নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা।

একইসময়ে শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।দুপুর দেড়টার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে শহরের শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কের চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মিছিলটি এসি মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন সাংবাদিককে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেন। সাংবাদিকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে গায়ের জ্যাকেট ছিঁড়ে ফেলেন তারা। একপর্যায়ে গুলি তাক করে অন্তত ১০-১২ জন সাংবাদিককে পাশ্ববর্তী একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভেতর অবরুদ্ধ করেন। সেখান থেকে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করতে করতে সামনে এগোতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে থেকে শুরু করে সার্কিট হাউস রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে একে একে পড়ে ছিল শ্রাবণ, শিহাব, শাহীদের রক্তাক্ত মরদেহ। ঘাতকের নির্মম আঘাতে আহন হন শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, পথচারীসহ অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ। অনেকে তখন রাজনৈতিক ভীতি ও পুলিশি হয়রানির ভয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেননি। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে সেখানে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। একপর্যায়ে মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

একইসময় আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা চালায়।

সেদিন এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ছাপ পড়েছিল। চিরচেনা ব্যস্ত ফেনী শহরে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই রূপ নেয় গভীর রাতের চেহারায়। দিনভর সহিংসতার নানা ঘটনার পরে সন্ধ্যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোডেও দেখা যায় অচেনা এক চিত্র। ফাঁকা রাস্তাঘাটে ছিল না কোন যানবাহন, মানুষজন। এছাড়া এর আগের কয়েকদিন ধরে আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও সেদিন বিকেল থেকে তারাও ছিলেন না মাঠে।

গুলির ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা গেছে
সেদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা কর্মসূচির সমর্থনে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। দুপুর ২টা থেকে কর্মসূচিতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় অনেকের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা ভিডিওতে থাকা হত্যাকারীদের পরিচয়সহ ছবিও প্রকাশ করছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি (কালো জ্যাকেট) শহিদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল প্লাজা এলাকা থেকে একটি রিকশা থেকে নেমে গুলি করে করে সামনে দিকে এগিয়ে যায়। তার হাতের ইশারায় পরবর্তীতে পেছন থেকে অন্যরা সামনের দিকে এগিয়ে যান। নেটিজেনরা তাকে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু বলে শনাক্ত করেছেন। এদিন একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা পিছু হটলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে প্রাণ হারান ৭ জন।

যেমন ছিল ফেনী হাসপাতালের চিত্র
মহিপালে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলির ঘটনার পরের দৃশ্য ছিল হৃদয়বিদারক। ঘটনার পর থেকে একে একে মরদেহ নিয়ে আসা হয় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাদা কাপড়ে ডেকে রাখা হয় মরদেহ। হতাহতরা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখানেও হামলা ও চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে হঠাৎ মরদেহ গুম করার কথা উঠলে ক্ষুব্ধ উৎসুক জনতা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন। অন্যদিকে নিহতদের স্বজন, আন্দোলনকারী ও আহতদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে হাসপাতালের চারপাশ। সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষজন বলেন, স্বাধীনতার পর এমন বিভীষিকাময় চিত্র আর কখনো দেখেননি ফেনীর জনপদ।

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মরদেহ। পরে ধীরে ধীরে জরুরি বিভাগের সামনে পড়া থাকা রক্তাক্ত মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করেন স্বজনরা। আবার অনেকে সন্তান ও প্রিয়জনের খোঁজ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন