
এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
লজ্জা লাগে, এই সরকারকে একদিন ও রিলাক্সে থাকতে দিচ্ছে না। ভুইফোড় রাজনৈতিক দলসমুহের উৎপাতের কারণে। অন্তরবর্তীকালীন সরকারেরও দোষ আছে। অযথা এসব দল সমুহকে অযাচিত আমন্ত্রন করা। কথায় আছে, প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে, বসলে খাইবার দিতে হয়, খাইলে শুইবার জায়গা দিতে হয় ইত্যাদি। সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ফেব্রæয়ারীতে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগনকে উদাত্ত আহব্বান জানিয়েছেন, স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোটাধিকার প্রদানের জন্য। সেটা-ই তো রেফারির দায়িত্ব। কারন তাহারা জানে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে মেনেই সরকার গঠন করেছেন। সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আলোকে দায়িত্ব গ্রহনের বৈধতা দিয়েছে। তাহাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সাধারণ জনগনের ক্ষমতা অন্তরবর্তীকালীন সময়ে মধ্যে একটি সাধারন নির্বাচনের আয়োজন করে স্বচ্ছভাবে, তাহাদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করিবেন।
রাজনৈতিক দল সমুহ নির্বাচনের পূর্বে প্রতিটি দলের দাবী সমূহ লিখিতভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করিবেন। সাধারন জনগন দাবী সমূহ মূল্যায়ন করে ব্যালটের মাধ্যমে তাহাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করিবেন। সেই প্রতিনিধিরাই তো জাতির স্বার্থে আইন প্রনয়ন করিবেন। কেন সাধারন জনগনের নিকট রাজনৈতিক দল সমূহ তাহাদের ম্যানুফ্যাষ্টু নিজস্ব চাহিদার আলোকে পেশ করিতে অনিহা?
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক দল সমুহের আচরণ দেখে মনে হয়, অন্তরবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বেশী মাত্রায় বৈষম্য সৃষ্টির পায়তারক হচ্ছে। অযথা এই, সরকারের রুটিন কাজে বাধা দিচ্ছেন। উৎপাত বা গায়ের জোরে কথা না বলে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগীতা করুন। সদ্য গঠিত এনসিপি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিটি নেতার বিরুদ্ধে মিশুর দুর্নিতির অভিযোগ। জনগন কিন্তু সবই দেখিতেছেন। মনে করিয়ে দিতে চাই, এন.সি.পি কে ৫ই অগাস্ট ২০২৪ এর পূর্বের সমর্থন নেই। তাহাদেরকে ভাবতে হবে। তখন তাহারা কোন সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী কিছুই ছিলেন না। এখন যেহেতু রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই আলোকে কথা বলা শিখতে হবে। যেমন: এন.সি.পি নেতা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী যুবশক্তির অনুষ্টানে বললেন, ফেব্রæয়ারীতে নির্বাচন হবে না। সেই ক্ষমতা আপনাকে কে দিয়েছে? সরলভাবে বললেন, জনাব পাটোয়ারী গংরা কি আরেক, স্বৈরাচার এর স্বপ্ন দেখিতেছেন? বি.এন.পি জামায়াতে ইসলাম প্রমুখ রাজনৈতিক দল সমুহ তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে প্রায় ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করিলেন। সেই আন্দোলনের কথা কি ভূলে গেছেন? এই দুর্বল সরকারের নিকট কেন নতুন নতুন দাবী উপস্থাপন করে তাহাদেরকে বিব্রত করিতেছেন? অন্তরবর্তীকালীন সরকার তো আর জনগনের ম্যান্ডেট-নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। অন্তরবর্তীকালীন সরকারের নিকটে একটাই দাবী করতে পারেন, সাধারণ জনগন যাহাতে নির্বিগ্নে, নির্ভয়ে অবাধ এবং সুস্তভাবে তাহাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। রাজনৈতিক দল সমুহকে বলবো, আপনাদের আদর্শ, কর্মসূচী দেশের উন্নয়নে সাধারন জনগনের নিকট পেশ করুন। যদি সাধারণ জনগনের ম্যান্ডেট পেয়ে যান, তাহলে পবিত্র সংসদে আপনাদের কর্মসূচীর আলোকে প্রযোজনীয় সংষ্কার করুন। অযথা বিভিন্ন দল (গাষ্টী অন্তরবর্তী সরকারকে বিব্রত না করার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। সাধারণ জনগণকে বলবো, অযথা নেতার ডাকে প্রায় ৪-৫ শত কিলোমিটির অতিক্রম করে ৪-৫ মিনিটের বক্তব্য শুনতে ভুলেও যাবেন না। ইউ টিউভ সার্চ দিলেই নেতার বক্তব্য শুনতে পাবেন। বলা যায় না কোন দূর্ঘটনা ঘটলে আপনি হবেন ক্ষতিগ্রস্থ, গোটা পরিবার অসহায় হয়ে যেতে পারে। চাাইলে ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের আহত/নিহত পরিবারের নিকট থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। বরং লাভবান হন, পরিবর্তন হলে হালুয়া রুটির অংশিদা হন সেই ক্ষতিত মুখোস দারি নেতারা। ইতিহাস বলে, কোন নেতার আতিœয় স্বজন কখনো হত্যা কাÐের শিকার হন না। সুতরাং সাধারণ জনগন সাবধান হওয়ার এখন-ই সময়।
লেখক, সভাপতি-সু-শাননের জন্য নাগরিক, বিয়ানীবাজার, সিলেট। মোবাইল: ০১৮১৯-১৭৬২১৭
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার