এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
২০২৪ সাল | ছাত্ররা বৈষম্য বা কোটা বিরুধী আন্দোলনরত ছিল | ৭১ টিভির ফারজানা রুপা, শেখ হাসিনাকে আদর করে প্রশ্ন করেছিল আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে চাকুরী দিবেন, না রাজাকারের নাতিপুতিকে চাকুরী দিবেন? উত্তরে বলেছিলেন, আমি কি রাজাকারের নাতিপুতিকে চাকুরী দিব? বৈষম্য বা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উটলেন, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার| ১৯৯৪ সালে মাগুরার এম.পি মেজর জেনারেল (অবঃ) মাজেদুল ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন| শুন্য আসনে উপনির্বাচন হয়| কিন্তু নির্বাচনটি বিতর্কিত ছিল| বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলনের ডাক দেন| সেই আন্দোলনে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী একাত্নতা প্রকাশ করেন| আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর আমীর জনাব, মৌলনা গোলাম আজম “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” ব্যবস্থার রুপ রেখা প্রনয়ন করেন| আওয়ামীলীগ-জামাতে ইসলামের প্রস্তাবনা কে স্বাগত জানায়| উভয় দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন| তখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন| বিএনপি এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন ১৩৪ জন| “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” সংবিধানে সংযোজন করতে হলে ২/৩ সংসদ সদস্যদের ভোটের প্রয়োজন| সে সংখ্যাঘরিষ্টতা বিএনপি এর ছিল না| এদিকে আওয়ামীলীগ ও জামাতে ইসলাম এর সংসদ সদস্যগন পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন| “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” বাস্তবায়নের জন্য ১৭৩দিন হরতাল, অবরোধ এর কর্মসুচী পালন করেন| অনেক লোক হতাহত হন| আবশেষে বেগম জিয়া “তত্ত্বাবাধিকার সরকার” পদ্ধতি নীতিগত ভাবে মেনে নেন| সেই সরকারকে প্রাতিষ্টানিক ভাবে রুপদান করতে ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের আয়োজন করেন| ২/৩ সংসদ সদস্যগনের মতামত নিয়ে সংবিধানে “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” পদ্ধতি সংযোজন করে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষনা করেন| ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মাঠের সকল বিরোধী দল আন্দোলন সংগ্রাম করলেন, শেখ হাসিনা কর্তৃক “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” পুনঃ প্রতিষ্টার জন্য| বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সহ ২০ দলীয় ঐক্য জোট গঠন করা হয়| আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে অবশেষে দেশ ত্যাগে বাধ্য করলেন| অন্তরবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্টিত হল| মাননীয় আদালত কর্তৃক “তত্ত্বাবাধায়ক সরকার” প্রতিষ্টিত হল| আয়ূব খানের বেসিক ডেমক্রসিক বিকল্প আদলে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হল| পদাদিকার বলে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান দ্বারা জেলা পরিষদের চেয়ারমান, মেম্বারগন নির্বাচিত হন| উদাহরন স্বরুপ বলতে চাই, বিয়ানীবাজার উপজেলায় ভোট ১৪৫টি| নির্বাচিত হতে হবে ১ জন| প্রার্থী ১২জন| এই ১২ জন প্রার্থী প্রাতিদ্বন্ধিতা করেছেন| যাহাকে-ই জিজ্ঞাসা করা হয় নির্বাচনী ব্যয় কত? সহজ উত্তর ৫০/৬০ লক্ষ টাকা| তাহলে মোট টাকা ১২জনে ৬০,০০,০০০X 12= 7,20,00,000/- (সাত কোটি বিশ লক্ষ) টাকা| সাধারন জনগনের কি এই টাকার অংশিদার হওয়ার সুযোগ ছিল? ধরে নিলাম পি.আর পদ্বতিতে ভোট হল| দলীয় প্রতীকে সাধারন ভোটার ভোট প্রদান করলেন| শতাংশের ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ড প্রার্থী সিলেক্ট ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত করিলেন| হাইকমান্ড তো আর বাংলাদেশের বাহিরের জনগণ নহে| চরিত্র তো পাকিস্তান আমলে থেকে বাংলাদেশে বিগত জেলা পরিষদের আদলে এই জনপদেরই তো নেতা| তাহলে কি দলীয় হাইকমান্ড জেলা পরিষদের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে লাগাবেন? সাধারন জনগন কিন্তু সৎ বোকা নহে| নেতা কিন্তু সুযোগের অভাবে চরিত্রবান|
লেখক, সভাপতি- সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট। মোবাইল নং ০১৮১৯১৭৬২১৭
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।