স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে লুট হওয়া সাদাপাথর ফেরত আসতে শুরু করেছে ভোলাগঞ্জে। জেলা প্রশাসনের আল্টিমেটামের পর আতঙ্কে পড়ে স্থানীয়রা নিজ খরচে ট্রাক ও নৌকায় করে পাথর ফেরত দিচ্ছেন। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি প্রায় দুই লাখ ঘনফুট পাথর ভোলাগঞ্জে জমা দিয়েছেন।
প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টার মধ্যে লুট হওয়া সব সাদাপাথর ফেরত দিলে বিনা শর্তে দায়মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে সময়সীমা শেষে কারও কাছে পাথর পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, ২৫ আগস্ট আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে চিরুনি অভিযান। “রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব যাই থাকুক, লুটকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না,”—বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে প্রতিস্থাপনও চলছে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ ঘনফুটেরও বেশি পাথর উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে প্রতিস্থাপন হয়েছে আড়াই লাখ ঘনফুট। তবে বিশাল ক্ষতিপূরণের এই কাজ কে করবে, কীভাবে হবে—সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিস্থাপন কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে শনিবার (২৩ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় আল্টিমেটামের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মসন সিংহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা। তখনই জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর উদ্ধার হবে, সেই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন প্রশ্ন একটাই—আল্টিমেটামে আতঙ্কিত হয়ে ফেরত আসছে লাখ লাখ ঘনফুট পাথর, কিন্তু প্রকৃতির ক্ষতিপূরণস্বরূপ এই পাথর প্রতিস্থাপনের দায়ভার শেষ পর্যন্ত নেবে কে?
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।