সিলেট অফিস :
সিলেটের লুট হওয়া সাদাপাথর ফিরিয়ে দেওয়ার তিন দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছিল প্রশাসন। সেই আল্টিমেটাম শেষে এবার অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। সময়সীমা শেষে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর লোকজন স্বেচ্ছায় জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন সারওয়ার আলম। এর আগে মঙ্গলবার শেষ হয় প্রশাসনের বেধে দেওয়া তিন দিনের আল্টিমেটাম।
এর আগে শনিবার পাথর ফেরত দিতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে গত কয়েকদিন কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাইকিংও করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মোট ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাথর পুণঃস্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর স্বেচ্ছায় জমা দিয়েছেন লোকজন। আল্টিমেটামের শেষ দিনে মঙ্গলবার বিকেলে সাদাপাথর পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, আজকের পর থেকে যাদের কাছে লুটের পাথর পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু হবে।
সাদাপাথর পুণঃস্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অনেক কঠিন কাজ। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ কাজে প্রতিদিন ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা, ৩০০ শ’র বেশি ট্র্রাক কাজ করছে।
কি পরিমাণ পাথর লুট হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে আমার ধারণা আরও অন্তত ৩০ শতাংশ লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এগুলো নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাথর পুণঃস্থাপনের পাশাপাশি আইনি কার্যক্রমও চলবে। যারা পাথর লুট করেছে তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অপরাধীদের নাম প্রকাশ করা হলে তারা পালিয়ে যাবে। তাই আমরা নাম প্রকাশ করছি না। তবে প্রকৃত দোষীরা আইনের আওতায় আসবে। পাথর উত্তোলনে কয়েক হাজার লোক জড়িত ছিলো। যারা এতে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, রিপোর্ট সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও কাজ করছে। দুটি প্রতিবেদন নিয়ে কাজ চলছে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।