
কানাইঘাট সংবাদদাতা:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ’র) গুলিতে নিহত আব্দুর রহমান (৩০)-এর লাশ এখনো বাংলাদেশে ফেরত আসেনি। নিহত ব্যক্তির লাশ ফেরত আনার বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সর্বশেষ সীমান্তে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ জানায়, ‘নিহত আব্দুর রহমানের মরদেহ তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে তা ফেরত দেওয়া হবে।’
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচল ও নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মহিষ কিনে কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ সময় আন্তর্জাতিক পিলার নং ১৩৩৮-৩৯ এর মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে প্রবেশ করলে হঠাৎ করে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুর রহমান। তার সঙ্গে থাকা আরও তিন থেকে চারজন আহত অবস্থায় বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। ঘটনার পরপরই ডোনা সীমান্ত ক্যাম্পের বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নিহতের লাশ ফেরতের দাবি জানায়। প্রথমে বিএসএফ আশ্বাস দিলেও পরে আইনগত জটিলতার অজুহাতে লাশ হস্তান্তর থেকে বিরত থাকে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, ‘লাশ গ্রহণের জন্য পুলিশ সীমান্তে অবস্থান নিলেও বিএসএফ তা ফেরত না দেওয়ায় তারা রাতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।’
উল্লেখ্য, নিহত আব্দুর রহমান কানাইঘাট উপজেলার ডোনা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার