তাহিরপুর সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে তিন ধাপেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পারায় অনিশ্চয়তায় পড়া ৩৩ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে যাবতীয় কাজ ও জরিমানা বহন করবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শাখার অফিস সহকারী কৌশিক পাল। সোমবার বিকেলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক এর কাছে এই মুচলেকা দেন।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শাখায় ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থী জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অফিস সহকারী কৌশিক পাল ৩৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদনের ৩০০ টাকা ও নিশ্চায়নের জন্য ৪৫০ টাকা করে জনপ্রতি মোট ৭৫০ টাকা নেওয়ার পরও ভর্তি আবেদন করেননি। আর এ কারণেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়াতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
আরও জানা যায়, ভর্তি আবেদন শুরু হয় প্রথম ধাপে ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট, দ্বিতীয় ধাপে ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট এবং তৃতীয় ধাপে ৩১ আগস্ট থেকে পহেলা সেপ্টেম্বর। এই সময়ের মধ্যে আবেদন শেষ হলেও কোনো শিক্ষার্থীর মোবাইলে ভর্তি আবেদন সংক্রান্ত ম্যাসেজ না আসার বিষয়টি শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে। পরে প্রধান শিক্ষক বোর্ডে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ৩৩ শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য কোনো আবেদনই করা হয়নি।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কৌশিক পাল জানান, "আমার ভুল হয়েছে, আমিই সব ঠিক করব।"
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরও অফিস সহকারী কৌশিক পাল অনেক শিক্ষার্থীর আবেদন করে দিয়েছেন। এবারে আমি নতুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছি। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে কৌশিক পালকে জিজ্ঞেস করলে সে বলত বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি কাজ সম্পন্ন করে রেখেছি। সম্প্রতি কলেজে কোনো ভর্তিসংক্রান্ত চিঠি না আসায় আমি সিলেট বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেই। সেখানে জানতে পারি ৩৩ শিক্ষার্থী নামে কোনো আবেদনই করা হয়নি।
এ ছাড়া বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সোনালি সেবার ১৮ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এলাকায় তার কাছে আরও অনেকেই টাকা পায় এবং সে এলাকা ছেড়ে উধাও।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি মেহেদী হাসান মানিক বলেন, কৌশিল পাল একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করবে অঙ্গীকার করে গেছে। যদি সে ব্যর্থ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।