
স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল কর্মসূচি জেলাজুড়ে চলবে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
হরতালের কারণে বন্ধ রয়েছে জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল। অভ্যন্তরীণ রুটেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হরতালে সব অফিস-আদালতে কার্যক্রম পরিচালনা না করার আহ্বান জানিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এছাড়াও হরতালের সমর্থনে সব হাটবাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আসন পুনবর্হালের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে, রোববার বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণার পর মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের দশানী ট্রাফিক মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
ওই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ আসাফুদৌলা জুয়েল, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা ও জেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক রাহাত প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবজ্ঞা করেছে। এতে জেলার উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরসহ জেলাজুড়ে একটানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক অবরোধ পালনের ঘোষণা দেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার