Daily Jalalabadi

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম ২ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি কম

admin

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২:২৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২:২৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
প্রথম ২ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি কম

স্টাফ রিপোর্টার:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে প্রথম দুই ঘণ্টায় বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে আশা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হল কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর নিতে কিছুটা সময় লেগেছে। প্রায় এক ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ১৩ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রের মোট ভোটার ৬৫০ জন।

কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি শেষ সময় পর্যন্ত ভোটাররা আসবেন।’

শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৩টি। এখানে মোট ভোটার ২৯৯ জন। এই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মওদুদ আহমেদ জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর ৯টা ৪০ পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন পাঁচজন। ধীরে ধীরে ভোটার বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।

ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।

জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থীই নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।

নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশ নেবে। ছাত্রদল থেকে ভিপি ও জিএস পদে লড়ছেন যথাক্রমে শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখী। বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।

‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।

‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়বেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত।

ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!