
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১ বছরের এক শিশু। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্জন বাড়িতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে গোলাপগঞ্জের গোয়াসপুর রুইগড় এলাকার রানাপিং শাহী ঈদগাহ এর পাশে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, গোয়াসপুর রুইগড় এলাকার মৃত জিতু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৪৫) এবং দখারপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে এহসান আহমদ (২৪)।
গত মঙ্গলবার পুলিশ মামলার প্রধান আসামী সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তাকে গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যা। তিনি জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেলিমের সহযোগি এহসানকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার থেকে চা পাতা ও দুধ ক্রয় করার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুকে বাজারে পাঠান। শিশুটি বাজার থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে এলাকার পাশের রানাপিং বাজারের শাহী ঈদগাহের পাশে রাস্তার ওপর শিশুর পরনের জুতা ও চা-পাতা এবং দুধ খুঁজে পান। এতে করে শিশুটির পরিবারের লোকজনের সন্দেহ দেখা দেয়। তাকে আত্মীয় স্বজন, আশেপাশের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই রাত অর্থাৎ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুমান ৩টার দিকে শিশুটিকে বসত বাড়ির গেইটের ভেতরে পরণের পায়জামায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটিকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
শিশুটি জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকদের জানায়, সে বাজার থেকে দুধ ও চা পাতা ক্রয় করে বাড়িতে ফেরার সময় গোয়াসপুর-রুইগড় রানাপিং শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা থেকে এহসান আহমদ ও সেলিম মিয়া তার মুখ চেপে ধরে লাইটেস গাড়িতে তুলে নিয়ে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এহসান আহমদের সহযোগিতায় সেলিম মিয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযুক্ত সেলিম মিয়া ও তার সহযোগী এহসান আহমদসহ দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার