
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম বলেছেন, ‘সিলেট মহানগরীতে অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও অন্যান্য অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অভিযান চলছে। প্রথম দিনে ৫টি পয়েন্টে এবং দ্বিতীয় দিনে তা বাড়িয়ে ১০টি পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া, তিনটি পুলিশের মোবাইল টিম মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’
কমিশনার আরও জানান, ‘এ অভিযান ধাপে ধাপে আরও বিস্তৃত করা হবে। সিলেট মহানগরী পুরোপুরি ব্যাটারি চালিত রিকশামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনার সময় সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে যানজটের পরিস্থিতিতে কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়।’
চার্জিং পয়েন্টে অভিযান ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে কমিশনার বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশার চার্জিং পয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত ৩৮টি চার্জিং পয়েন্টের তালিকা অনুযায়ী সেগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ চলছে। এ তালিকার বাইরে অন্য যেসব চার্জিং পয়েন্ট চিহ্নিত হবে, সেগুলোর বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘লালদিঘীরপারে হকার্স মার্কেটের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে খুব শিগগিরই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু হবে। সিলেটকে নিরাপদ, হকারমুক্ত ও যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সিলেট শহরের বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সামনে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে কমিশনার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে কথা বলা হবে যাতে তারা নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেন। খুব শীঘ্রই আমরা এই বিষয়গুলোতে কাজ শুরু করবো।’
অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার পেছনে পুলিশের টোকেন বাণিজ্য বন্ধে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য যদি এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে হোটেলগুলোতে নিয়মিত অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নগরীর আবাসিক ও উচ্চমানের হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এসব হোটেলে যদি অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হোটেল সিলগালা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পোশাকধারী পুলিশ প্রতিদিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার