
স্টাফ রিপোর্টার:
টানা ৩ দিন ধরে সিলেট এখন কিছুটা যানজট মুক্ত, জিছুটা হলেও আগের চেয়ে ফাঁকা নগরী। এতে নাগরিক জীবনে কিচুটা স্বস্তি নেমে এসেছে। তবে এমন স্বস্তি কতদিন, এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
বুধবার বিকেল ৪টা। সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার থেকে আম্বরখানা সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। নিয়মিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। চলছে প্যাডেলচালিত রিকশাও। রাস্তাটির চৌহাট্টা, আম্বরখানা ও জিন্দাবাজার পয়েন্টে এ সময়টাতে প্রায়ই যানজটের খপ্পরে পড়তে হতো তিনদিন আগেও। আপাতত যানজট নেই। নাগরিক জীবনও মোটামুটি সচল।
বুধবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিট। জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে জেল রোড পয়েন্ট। ক’দিন আগেও সড়কটির জিন্দাবাজার পয়েন্ট, বারুতখানা পয়েন্টে ও জেল রোড পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকতো। ট্রাফিক পুলিশের পাশাশি যানজট নিরসনে কাজ করতে হতো সচেতন নাগরিকদের কেউ কেউ। পুলিশ-নাগরিকের যৌথ প্রচেষ্টায়ও নাগরিক জীবনে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর করা সম্ভব হতোনা। কিন্তু এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
এর কারণ, অভিযান। সিলেট মহানগর পুলিশ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশেষ অভিযানে নেমেছে। তারা মহানগর এলাকা থেকে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে। তিনি অন্তত তিনশ’র কাছাকাছি অবৈধ যানবাহন আটক ও অন্তত শ’খানেক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে যাদের ধরা বা আটক করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশই ব্যাটারিচালিত রিকশা। অনেক দিন ধরে সিলেট মহানগরীতে যানজট ও দুর্ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়ী করা হচ্ছিল।
এর পরপরই ধরা হচ্ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে। গাড়ির সঠিক কাগজপত্র না থাকা, চালকের সঠিক লাইসেন্স না থাকা, ইনসিউরেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাদের নেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। গত তিনদিনে এরকম অন্তত শ’খানেক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন অমান্য করে যারা চলালচল করছে তাদের বিরুদ্ধেও চলছে এসএমপির অ্যাকশন। কয়েকটি ট্রাক এবং প্রাইভেট কারও আটক করা হয়েছে গত কয়েকদিনে।
মোটামুটি নাগরকি জীবনে স্বস্তি নেমে এলেও তার স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী। কারণ, আন্দোলন সংগ্রাম। বুধবার বিকাল তিনটার দিকেও নগরীর কাজীটুলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টা দেখা গেছে। যখন তখন তারা রাজপথে নামার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার