
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হচ্ছিল। সন্ধ্যা নামলেই এসব হোটেল রূপ নিত মধুচক্রে, যেখানে তরুণ-তরুণীদের অবাধ যাতায়াত আর অনৈতিক কর্মকাণ্ড গভীর রাত পর্যন্ত চলত। মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, কাজলশাহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ সুরমার একাধিক হোটেলকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।
অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিযোগ— এ ধরনের কার্যকলাপ তরুণ সমাজকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। প্রেম, বন্ধুত্ব আর আড্ডার আড়ালে ধ্বংস হচ্ছে নৈতিকতা, শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে। ফলে নগরের সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে এবার পুলিশ ঘোষণা দিয়েছে এই মধুচক্র ভাঙার। বলা হয়েছে যদি কোন হোটেলে অসামাজিক কাজ ধরা পড়ে, তাহলে সেটি সিলগালা করে দেয়া হবে।
নতুন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা কয়েকদিন অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষকে আটক করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। তাদের মধ্যে হোটেলের কর্মচারীও রয়েছেন বেশ কয়েকজন।একইসঙ্গে হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন— কোনো হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নগরীর আবাসিক ও উচ্চমানের হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এসব হোটেলে যদি অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হোটেল সিলগালা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পোশাকধারী পুলিশ প্রতিদিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’
এসএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ ও পোশাকধারী পুলিশ প্রতিদিনই এসব হোটেলে অভিযান চালাচ্ছে। নগরবাসী আশা করছে, পুলিশের এ ধারাবাহিক তৎপরতায় অসামাজিকতার অবসান ঘটবে এবং তরুণ প্রজন্ম সঠিক পথে ফিরে আসবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার