
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের লালদিঘীরপার অস্থায়ী হকার মার্কেটে ফিরতে চান হকররা। বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের সতর্কবার্তার পর তাদের অধিকাংশই মানসিকভাবে প্রস্তুত। কিন্তু তারা প্রস্তুত হলে কি হবে, লালদিঘীরপার অস্থায়ী হকার্স মার্কেট প্রস্তুত হতে এখনো ৭/৮ দিন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটভিউকে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার।
চলতি মসের শুরুর দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক কিনব্রিজ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করেন। এরপর সেখানে স্থায়ীভাবে সিটি কর্পোরেশনের দু’জন কর্মী বসিয়ে সার্বক্ষনিক পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।
ওই দিনই তিনি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট জিন্দাবাজারসহ অন্যান্য স্থানের হকারদের সতর্ক করে দেন, লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট তাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটির কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের নগরীর রাস্তাঘাট বা ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে দেওয়া হবেনা।
এর কয়েকদিন পর তিনি সিলেটের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দেন।
তার আগে সিলেটে যোগ দেওয়ার পরপরই জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্দেশ্য সিলেটের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। ওইসব সভায় অংশগ্রহণকারী নগরীর
রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ হকার সমস্যা ও অবৈধ যানবাহন চলাচল সমস্যাকে প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেন।
এরপরই শুরু হয় আল্টিমেটাম এবং অভিযান। তবে এখন চলছে অবৈধ যানবাহন বিরোধী অভিযান। এ অভিযানে কয়েকশ’ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অবৈধ যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে প্রায় শ’র কাছাকাছি।
আর অবৈধ স্থাপনা ও হকার উচ্ছেদে অভিযান আপাতত শুরু হয়নি। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম সম্প্রতি সাথে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রস্তুত হলেই রাজপথ ও ফুটপাতে অভিযান শুরু হবে।
সপ্তাহখানেক আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার জানিয়েছিলেন, লালদিঘীরপার প্রস্তুত হতে আরও ৮/১০ সময় লাগতে পারে।
সেই সিসিক কর্মকর্তা মঙ্গলবার আবারও একই কথা জানালেন, প্রস্তুত হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
এদিকে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক এবং ফুটপাতে ব্যবসা করা হকার বা ছোটো ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই এখন প্রশাসনের হুমকি ধমকির প্রেক্ষিতে আতঙ্কে আছেন। নিরুপায় হয়ে তারা লালদিঘীরপারে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
রফিক উদ্দিন (৪২) নামের একজন হকার এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের আর কোনো উপায় নেই। রাস্তা বা ফুটপাতে লাত্থিগুতা খাওয়ার চেয়ে লালদিঘীর পারে ইজ্জতে বসাই ভালো।
তবে এ প্রসঙ্গে তার মতামতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানালেন, লালদিঘিীর পার মার্কেটে সহজে যাতায়াতের পথ রাখতে হবে। সিটি মার্কেটের গেইটটি রাত ১০টার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটাক একটা বড় সমস্যা। আরও বড় সমস্যা হচ্ছে, কিছু কিছু হকার বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে বসে পড়ে।
তিনি আরও জানান, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর। এমনটি হলে যারা লালদিঘীরপারে বসবে তাদের ব্যবসা হবেনা। এ বিষয়টি প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে। শতভাগ হকারকে এই মার্কেটে নিতে পারলে অবশ্যই প্রশাসন বা সরকারের এ উদ্যোগ সফল হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার