Daily Jalalabadi

  সিলেট     সোমবার, ৩রা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ শিশু ধর্ষণ: মুয়াজ্জিন কারাগারে, প্রধান শিক্ষক পলাতক

admin

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
২ শিশু ধর্ষণ: মুয়াজ্জিন কারাগারে, প্রধান শিক্ষক পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরের ইসলামপুর ও মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই শিশুকে ধর্ষণের পৃথক অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে মানিকগঞ্জে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ইসলামপুরে ১০ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

ইসলামপুরে ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গুঠাইল বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে গেছে, মঙ্গলবার উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল এলাকায় বাবুর বাড়িতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. শামীম উল বাশার (৪০)। তিনি উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের শিলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় বুধবার ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীকে বই ও চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান ওই শিক্ষক। পরে শিক্ষকের বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে অন্যান্যদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

ইসলামপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে বই ও চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আরও এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিশুর মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘিওর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কোহিনুর ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঘিওর উপজেলার একটি গ্রামে ১২ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ইমাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি চকলেট দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার মাকে বলে। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেন। রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেন। বুধবার শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটক ইমাম হোসেনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!