স্টাফ রিপোর্টার:
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতটা ছিল যেন এক নাটক। একপাশে নিরন্তর আক্রমণ, অন্যপাশে একা এক দুর্গ। থিবো কোর্তোয়া নিজের গোলপোস্টকে দেয়ালে পরিণত করেছিলেন। শুরুর ৫০ মিনিট পর্যন্ত তিনি যা করলেন, তাতে রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের মনে আশা জেগেছিল ‘আজ হয়তো কোর্তোয়া একাই পয়েন্ট বাঁচাবেন।’
কিন্তু ফুটবল কখনোই কেবল পরিসংখ্যানের খেলা নয়। ৬১ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের মাথা ছুঁয়ে বল জালে গেলে, সেই প্রতিরোধের দেয়াল ভেঙে পড়ে। সোবোসলাইয়ের নিখুঁত ফ্রি কিক থেকে আসা হেডে নিশ্চিত করেন লিভারপুলের ১-০ গোলের জয়।
এর আগ পর্যন্ত ম্যাচটা ছিল আসলে ‘লিভারপুল বনাম কোর্তোয়া’। প্রথমার্ধেই চারটি সেভ- ডমিনিক সোবোসলাই, কোডি গাকপো, এমনকি সালাহ- সবাইকে হতাশ করেছেন তিনি। ২৭ মিনিটে সোবোসলাইয়ের কাছাকাছি শট পা বাড়িয়ে ফিরিয়ে দেন, যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য।
শেষ মুহূর্তেও হাল ছাড়েননি। ৮৬ মিনিটে গাকপোর শট ঠেকানোর পর ফিরতি বলে সালাহর প্রচেষ্টাও রুখে দেন মিলিতাওকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু সেই এক ভুল—বেলিংহামের অপ্রয়োজনীয় ফাউল- সব পরিশ্রম মাটি করে দিল।
রিয়ালের হাতে বল ছিল বেশি, কিন্তু ধার ছিল না। ৬১ শতাংশ দখল, ৮টি শট- তবু পোস্টে মাত্র দুইবার। বিপরীতে লিভারপুলের আক্রমণ ছিল ধারালো, ১৭ শটের ৯টি লক্ষ্যভেদী।
তিন বছর আগের ফাইনালের পর আবারও কোর্তোয়া নায়ক হয়েছেন অ্যানফিল্ডে, কিন্তু এবার জয়ের নায়ক তিনি নন।
শেষে হাসল লিভারপুল, কিন্তু দর্শকরা মনে রাখবে সেই লম্বা বেলজিয়ানকে- যিনি প্রায় একাই রিয়ালকে বাঁচিয়ে রাখছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।