
স্টাফ রিপোর্টার:
সৌদি আরবের মদিনার নিকটে একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ওমরাহ হজযাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ভারতের হায়দরাবাদের একই পরিবারের তিন প্রজন্মের ১৮ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক, যাদের বড় অংশ তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ এলাকা থেকে গিয়েছিলেন। বাসটি মক্কা থেকে মদিনার পথে যাচ্ছিল এবং ভারতীয় সময় রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের একজন, রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী শাইক নাজিরউদ্দিন তার স্ত্রী, ছেলে, তিন মেয়ে ও নাতি–নাতনিদের নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন। তার ভাতিজা মোহাম্মদ আসলাম পিটিআইকে জানান, ‘এটা নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু—আমরা নিশ্চিত নই; তবে নাজিরউদ্দিন, তার ছেলে–মেয়ে এবং নাতি–নাতনিসহ ১৮ জন একই বাসে ছিলেন।’ তিনি এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তীর্থযাত্রার আয়োজন করা ট্র্যাভেল এজেন্সির ভূমিকা কঠোরভাবে যাচাই করার দাবি জানান।
burned bus oil tankerদুর্ঘটনা কবলিত বাস ও তেলের ট্যাঙ্কার। ছবি: সংগৃহীত
ঘটনার খবর পৌঁছাতেই হায়দরাবাদের রামনগরে নাজিরউদ্দিনের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার এক আত্মীয় মোহাম্মদ আসিফ এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমার জা, দেবর, তাদের ছেলে, তিন মেয়ে এবং নাতি–নাতনিরা আট দিন আগে ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। ফিরতি পথে রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং বাসটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শনিবার (১৫ নভেম্বর) তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল।’
আসিফ আরও জানান, ‘এক পরিবারের নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক ও নয়জন শিশু—সব মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু আমাদের জন্য অকল্পনীয় কষ্টের।’ নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নাজিরউদ্দিন (৭০), তার স্ত্রী আখতার বেগম (৬২), ছেলে সালাউদ্দিন (৪২), মেয়ে আমিনা (৪৪), রিজওয়ানা (৩৮), শাবানা (৪০) এবং তাদের সন্তানরা।
gulf newsনিহতের আত্মীয়-স্বজনের কান্না। ছবি: গালফ নিউজ
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি. সি. সজ্জনার জানান, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কমপক্ষে ৪৫ জন ভারতীয় ওমরাহযাত্রী মারা গেছেন এবং তাদের বেশির ভাগই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তবে সৌদি আরব বা ভারত—কোনো পক্ষই সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 997 বার