স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের সব সরকারি স্কুল এবং মহানগর ও জেলা উপজেলা সদরের বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। গত কয়েক বছরের মত এবারো ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি, অনলাইনে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা আবেদন করে টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ভর্তির আবেদনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।’
https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যাবে ৫ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। আগেরবার অনলাইনে আবেদন ফি ১১০ টাকা থাকলেও এবার তা ১০টাকা কমানো হয়েছে।
লটারির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর। এরপর ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি চলবে।
এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে দুইটি অপেক্ষমান তালিকা ও ওয়েটিং লিস্ট থাকবে। ভর্তি কমিটি বলছে, ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির পাবে।
আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলার সদর উপজেলা এবং অন্যান্য উপজেলার উপজেলা সদরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করা যাবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম নির্বাচন হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে।
একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। লটারি হবে ডিসেম্বরে। ভর্তি পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তানের জন্য নিজ বিদ্যালয়ে সমসংখ্যক অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত থাকবে।
তাদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে না।
বেসরকারি স্কুলে ভর্তি
ঢাকা মহানগরীসহ বিভাগীয় ও জেলা সদর উপজেলার সব বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজেও একই সময়সীমায় অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন ও বয়সসীমা সরকারি বিদ্যালয়ের মতোই থাকবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের জন্য আলাদা কোনো কোটার ব্যবস্থা নেই। তাদের সাধারণ নিয়মে আবেদন করতে হবে। ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের মহানগরী পর্যায়ের বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলার সদর উপজেলা ও অন্যান্য উপজেলার উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ ধরে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হবে, অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাত বছর পর্যন্ত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।