স্টাফ রিপোর্টার:
আর্জেন্টিনা দলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ, যিনি সবার কাছে পাপু গোমেজ নামে পরিচিত, তিনি দীর্ঘ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে আবার ফুটবলে ফিরেছেন।
২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের আগে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ায় খেলতেন। সেই সময় অসুস্থ থাকায় দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ছেলের কাশির সিরাপ খেয়েছিলেন। পরে জানা যায়, ওই সিরাপে বিটা২-অ্যাড্রেনার্জিক নামক পদার্থ থাকায় খেলোয়াড়দের জন্য তা নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকাভুক্ত ছিল। ফলে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে গোমেজকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সময় তিনি ইতালিয়ান ক্লাব মোনৎসায় খেলতেন।
এখন ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার ইতালিয়ান ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের (সিরি ‘বি’) দল পাভোদার হয়ে খেলছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর সোমবার (২৪ নভেম্বর) তিনি নিজের নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন এবং ৩২ মিনিট খেলেন।
যদিও ম্যাচটি তার দল ভেনেজিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে। তবে মাঠে ফিরে গোমেজ শক্ত বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখানে ঘুরতে আসিনি। আমার লক্ষ্য পদোভাকে যতটা সম্ভব উঁচুতে নিয়ে যাওয়া।’
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক দিন চুপ থাকার পর সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দে ভিসিতান্তেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্যরা কোকেন নেয়, গাঁজা টানে—তাদের ছয় মাসের সাজা হয়। আর আমি আমার ছেলের কাশির সিরাপ খেয়ে পেলাম দুই বছর! এটা কেমন বিচার! তবে হ্যাঁ, আমি সেটা মেনে নিয়েছি।’
তিনি জানান, তিনি খুব রাগান্বিত ছিলেন এবং ‘ফুটবল দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম,’ তাঁর কাছে ফুটবল তখন ছিল মৃত নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে তিনি মনোবিজ্ঞানীর কাছেও গিয়েছিলেন। তবে সেই কঠিন সময় পেরিয়ে মাঠে ফেরার পর তার এই ঘোষণা স্পষ্ট করে দেয় যে, ‘তিনি এখনো লড়াই করতে চান।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।