Daily Jalalabadi

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর চলছে ‘ব্যাপক ও পদ্ধতিগত’ শোষণ

admin

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর চলছে ‘ব্যাপক ও পদ্ধতিগত’ শোষণ

স্টাফ রিপোর্টার:
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর ‘ব্যাপক ও পদ্ধতিগত’ শোষণ, প্রতারণা এবং ঋণ-দাসত্ব চলছে- এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে বর্তমানে বৈধ ওয়ার্ক পারমিটসহ ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি কাজ করছেন, যা বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, হাজারো শ্রমিক এখনও বাংলাদেশেই আটকে আছেন বা মালয়েশিয়ায় গিয়ে শোষণের শিকার হচ্ছেন; কারণ অনেকেই সরকার নির্ধারিত ফি-এর পাঁচগুণ পর্যন্ত অর্থ পরিশোধ করে বিদেশে গেছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি সংগঠনের ওয়েবসাইটে জানান, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের পাসপোর্ট জব্দ, ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতি, চুক্তি-সুবিধার বৈষম্য এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তার ঘাটতি সাধারণ ঘটনা। যথাযথ নথি না থাকলে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন এবং কঠোর ইমিগ্রেশন আইনে দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি থাকে। নিয়মিত অভিযানে প্রায় ১৮ হাজার অভিবাসী, শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীকে আটকশিবিরে রাখা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও চাপ বাড়ছে। পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার কয়েকটি কারখানার বিরুদ্ধে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ‘ফোর্সড লেবার রেগুলেশন’ ২০২৭ সালে কার্যকর হলে জোরপূর্বক শ্রমে তৈরি পণ্যের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে, যা ঋণদাসত্ব ও প্রতারণার ঘটনাকে নিষিদ্ধ বাণিজ্যের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়াসহ শ্রমিক প্রেরণ ও গ্রহণকারী সব দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গন্তব্য দেশের দায়িত্ব হলো শ্রম অভিবাসনে শ্রমিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। অভিযোগ তদন্ত ও কার্যকর প্রতিকার দ্রুত নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়। তারা সতর্ক করেন, জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।

আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশনের ‘রেসপনসিবল রিক্রুটমেন্ট’ নির্দেশনা অনুসরণ করতে, যাতে দায়িত্বশীল নিয়োগের খরচ সরবরাহ শৃঙ্খলে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং শ্রমিকরা আইনগত সহায়তা পান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!