
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ হিসেবে ৭ ডিসেম্বর বলা হলেও রাতে জানানো হয়, তা পরিবর্তন করে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তবে এই তারিখও চূড়ান্ত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে সময় আরও পেছাতে পারে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা–সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তার শারীরিক অবস্থায় বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় যাত্রার পরিকল্পনা সাময়িকভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে তার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
কাতারের ব্যবস্থাপনায় যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছে, সেটিরও সময়সূচি নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। শুরুতে ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণ করার কথা থাকলেও নতুন সময়সূচি অনুযায়ী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় নামবে।
এর আগে কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে বিকল্প হিসেবে জার্মানির এফএআই রেন্ট-এ-জেট প্রতিষ্ঠানের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার।
ঢাকায় কাতার দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ গণমাধ্যমকে বলেন, কাতার সরকার জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকায় পাঠাচ্ছে। চিকিৎসক এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সময় সমন্বয় করে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যাত্রাকারী দলের সংখ্যা কমানো হবে।
বিএনপি শুরুতে ১৮ জনের তালিকা করলেও অগ্রাধিকারভিত্তিতে সীমিত সংখ্যক মানুষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভ্রমণ করবেন। বাকি ব্যক্তিরা প্রয়োজন হলে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাবেন।
এদিকে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান।
তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গেই সময় কাটান। সেখানে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় থাকার পর তিনি ধানমন্ডিতে পৈতৃক বাসায় যান। রাতে আবার হাসপাতালে ফিরে এসে অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি আগে থেকেই চিকিৎসক দলের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। ১৩ দিন ধরে তিনি সেখানেই ভর্তি আছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার