Daily Jalalabadi

  সিলেট     বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টানা দ্বিতীয়বারের মতো এমএলএস-এর বর্ষসেরা খেলোয়াড় মেসি

admin

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
টানা দ্বিতীয়বারের মতো এমএলএস-এর বর্ষসেরা খেলোয়াড় মেসি

স্টাফ রিপোর্টার:
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) তিন দশকের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে লিওনেল মেসি টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের (এমভিপি) পুরস্কার জিতেছেন। এর আগে তিনি ২০২৫ মৌসুমের এমএলএস কাপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন।

এ বছর তার দল ইন্টার মায়ামি নিয়মিত মৌসুমের সাপোর্টার্স শিল্ড জিততে না পারলেও পরে এমএলএস কাপ জিতেছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) চেজ স্টেডিয়ামে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্টার মায়ামি। শিরোপা জয়ের পথে ফাইনালে তিনটি গোলের মধ্যে দুটিই হয়েছে মেসির অ্যাসিস্টে।

পুরো ২০২৫ আসরজুড়ে মেসি ছিলেন ছন্দে। এমএলএস-এর নিয়মিত মৌসুমে তিনি ২৮ ম্যাচ খেলে ২৯ গোল করেন এবং ১৯টি অ্যাসিস্ট করেন। এই সংখ্যা ২০২৪ আসরের চেয়ে বেশি; সেবার তিনি ২০ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করে এমভিপি হয়েছিলেন।

নিয়মিত মৌসুমের সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ১৮ দলের এমএলএস প্লে-অফে মেসি ৬ ম্যাচ খেলে ৬ গোল ও ৯টি অ্যাসিস্ট করেন, যার মধ্যে এমএলএস কাপ ফাইনালে করেন জোড়া অ্যাসিস্ট। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এই মৌসুমে মেসি টানা নয় ম্যাচে অন্তত তিনটি করে গোলে অবদান রাখেন, যা একটি নতুন রেকর্ড।

এছাড়া এক মৌসুমে ১০টি ম্যাচে একাধিক গোল করাও ছিল লিগের রেকর্ড। লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার (২০২৪ ও ২০২৫ সালে) অন্তত ৩৬টি গোল-অবদানের কৃতিত্ব অর্জন করেন এলএম টেন।

ল্যান্ডন ডোনোভান এমএলএস এমভিপি পুরস্কারটি ১৯৯৬ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। খেলোয়াড়, ক্লাবের টেকনিক্যাল স্টাফ এবং গণমাধ্যমের ভোটের মাধ্যমে যিনি দলের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হন, তিনি এই পুরস্কার পান। মেসি এই পুরস্কার দুবার জেতা দ্বিতীয় খেলোয়াড়; এর আগে প্রেকি (১৯৯৭, ২০০৩) দুবার এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

এ বছর এই পুরস্কার জয়ের পথে মেসি বিশাল ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন সান ডিয়েগো এফসির আন্দ্রেস ড্রেয়ারকে। শতাংশের হিসাবে মেসির গড় ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ৭০.৪৩ শতাংশ, যেখানে ড্রেয়ারের হার ছিল মাত্র ১১.১৫ শতাংশ। মেসি সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ৮৩.০৫ শতাংশ, খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ৫৫.১৭৪৩ শতাংশ এবং ক্লাবের কাছ থেকে ৭৩.০৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!