Daily Jalalabadi

  সিলেট     সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা, সুদানকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

admin

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা, সুদানকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার:
সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, ‘সুদানের কাদুগ্লিতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা সম্পূর্ণ অন্যায্য এবং এ ধরনের তৎপরতা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জাতিসংঘের কর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বাধ্যবাধকতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’

একই বার্তায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।

এই হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসও নিন্দা জানিয়ে একে ‘বৈশ্বিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শনিবার সুদানের আবেই অঞ্চলের কাদুগ্লিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহতরা হলেন কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, সৈনিক শামীম রেজা, সৈনিক শান্ত মণ্ডল, মেস ওয়েটার জাহাঙ্গীর আলম এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

ঘটনার পর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সুদানের সেনা–সরকার এক বিবৃতিতে হামলার জন্য দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। বিবৃতিতে সুদানের সেনাপ্রধান ও সরকারপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এ হামলাকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আরএসএফের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উত্তর–পূর্ব আফ্রিকার সোনা ও জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ দেশ সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও সে সংঘাত থামেনি। এ সময়ে রাজধানী খার্তুম ও দারফুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও মধ্যস্থতার উদ্যোগ সত্ত্বেও পরিস্থিতির দ্রুত অবসানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন

Follow for More!