স্টাফ রিপোর্টার:
ফাতেমা খাতুন: ভালো। আমাকে নিয়ে আপনার লেখা পড়ে সবাই প্রশংসা করছে। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আত্মীয়স্বজন ফোন করে সাহস দিচ্ছে। রেলওয়ের কর্মকর্তারাও আমাকে ভালো বলছে।
ফাতেমা খাতুন: পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর সবাই আমাকে ভাইরাল গেটম্যান বলে ডাকছে। পথচলতি মানুষগুলো আমাকে সম্মান করছে। অনেকে ভক্তিও করছে, কাছে এসে কথা বলছে। অনেকে বলছে, ‘এলাকার একটা মেয়ে এতটা পরিশ্রমের কাজ বেছে নিয়েছেন। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।’ আমার এই প্রশংসা এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনার কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না?
ফাতেমা খাতুন: কোনো সমস্যা হচ্ছে না আমার। অভাবের সংসারে বড় হওয়ায় বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি। ছোট অবস্থায় বাড়ির লোকজন বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। সংসার করেছি আর ভেবেছি, সমাজের জন্য কিছু করতে হলে কঠিন ও পরিশ্রমী কাজ করার প্রস্তুতি থাকতে হবে। সেভাবেই আমি গেটম্যানের চাকরির আবেদন করি, চাকরিটা পেয়েও যায়। দায়িত্ব পালন করছি, ভালো লাগছে।
ট্রেন পারাপারে আপনার গেটে কখনো দুর্ঘটনা ঘটেছে?
ফাতেমা খাতুন: আমি সাড়ে তিন বছর ধরে এই গেটে দায়িত্ব পালন করছি। আমার গেটে কোনো দুর্ঘটনা হয়নি। আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি। গেটে কোনো ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধকতা) নেই, যে কারণে আমার একটু কষ্ট বেশি করতে হয়। যারা এই গেট দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁদের আমি বোঝাই। কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াই না।
এলাকার মানুষ আপনাকে নিয়ে কিছু ভাবেন?
ফাতেমা খাতুন: আমি গেটম্যানের এই চাকরি শুধু চাকরি ভাবি না। আমি মনে করি, এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। এলাকার মানুষও আমার প্রতি খুবই আন্তরিক। কোনো সমস্যা দেখা দিলে পাশে এসে দাঁড়ায়।
কর্তৃপক্ষ আপনাকে নিয়ে কিছু ভাবছে?
ফাতেমা খাতুন: প্রথম আলোর সংবাদের পর কর্তৃপক্ষ আমার প্রশংসা করেছে। কর্মকর্তারা ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। এটাতে আমি খুব খুশি। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।
রেলওয়ে সম্পর্কে আপনার কিছু কি বলার আছে?
ফাতেমা খাতুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন আর আগের মতো নেই। এখন লোকাল গাড়ি পর্যন্ত সময় মেনে চলছে। যাত্রীর সংখ্যাও এখন বেশি হয়। আমার মতে, এখন রেলওয়ে যথেষ্ট ভালোভাবে সেবা দিচ্ছে। আরও ভালো সেবার জন্য লোকাল ট্রেনগুলোতে আরও বেশি বগি সংযুক্ত করা প্রয়োজন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার