Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই কূলই হারালো তৃণমূল বিএনপি

admin

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
দুই কূলই হারালো তৃণমূল বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তৃণমূল বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি হতে চেয়েছিল সংসদের প্রধান বিরোধী দল। এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সেই সুযোগ কাজিয়ে লাগাতে চেয়েছি কিংস পার্টি খ্যাত তৃণমূল বিএনপি। বিএনপির নামের সাথে মিল রেখে বিএনপিসহ নানান দল থেকে ছিটকে আসা নেতৃবৃন্দ মিলে গঠন করে নতুন এই দল। হঠাৎ করেই নির্বাচন পূর্বে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিয়ে মাঠে এসে ফোকাসে আসে দলটি। এরপর ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয় তারা। সবকয়টি আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থী থাকলেও জয়ের মুখ দেখেননি দলটির কোনো প্রার্থী।

এদিকে তৃণমূল বিএনপির স্থানীয় নেতারা দোষছেন নিজেদেরকে। দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেলেও আমাদের ছিল না জেলা উপজেলা থানা ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ বেগ পেতে হয়। ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার আগে করতে হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি গঠন। নির্বাচনে আগে প্রধান সরকার বিরোধী দল হবে বলা হবে আমাদের এমন কথা বলেছিলেন দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩য় সর্বোচ্চ প্রার্থী দিয়েছিল এই দলটি। তবে ভোটের মাঠে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দলটির ১৩৫ সংসদ সদস্য প্রার্থীর কেউই দাঁড়াতে পারেননি হাঁটু গেড়ে। তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে এসে শুধু পরাজিতই হননি বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের জামানত।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায় এই দলের শীর্ষ নেতারা তেমন প্রতিদন্দ্বি প্রার্থী হতে পারেননি। নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দলে ভিড়ানোর কথা তাদের বক্তব্যে বলতে শোনা গেলেও তারা তাতেও সফল হননি। বরং সরকার বিরোধী দল হিসেবে গুরুত্ব হারান তৃণমূল বিএনপি। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো আসনেও ছাড় পায়নি এই দল। দলটির শীর্ষ নেতারা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে আসনের ব্যাপারে ছাড় পাবার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ছাড় পাননি এই দলের শীর্ষ নেতারা। প্রয়াত মন্ত্রী নাজমুল হুদার মেয়ে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদাকে সরিয়ে সভাপতি হন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী। মহাসচিব হন সদ্য যোগ দেওয়া বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তিনিও নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলতে পারেননি। বাজেয়াপ্ত হতে পারে তারও জামানত। ফলে এ কূল ও কূল— দুই কূলই হারালেন তৃণমূল বিএনপি নামক নতুন এই দলের নেতারা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন