Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে মৃত্যু বেড়ে ৫৯

admin

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে মৃত্যু বেড়ে ৫৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইতালির দক্ষিণ উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৯। এর মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকালে ইতালির কালাবরিয়া অঞ্চলের কুতরো শহরে উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইতালির কোস্টগার্ড ও পুলিশ। ওই নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৮০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

 

 

এর আগে ইতালির কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, নৌকাটিতে দেড় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। নৌকাডুবির পর কয়েকজন সাঁতরে উপকূলে পৌঁছান। ডুবে যাওয়ার সময় নৌকাটি উপকূল থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিল।

ইতালির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, নৌকা ডুবে কয়েক মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানদোসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো অন্তত ৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ। উদ্ধার অভিযান চলছে।

কুতরো শহরের মেয়র অ্যান্তোনিও সিরাসো স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সমুদ্রে ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে কাঠের তৈরি নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকার বিচ্ছিন্ন অংশ উপকূল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।

ওই নৌকায় থাকা আরোহীদের সবাই ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী। তবে তাঁরা কোন কোন দেশের নাগরিক, তা ইতালির সরকার জানায়নি। যদিও স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, নৌকার আরোহীরা ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিক। অন্য একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, তাঁরা ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ার নাগরিক।

প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সমুদ্রে মৃত্যু ঠেকাতে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। গত অক্টোবরে ক্ষমতায় আসার পর মেলোনির কট্টর ডানপন্থী সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশী–বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সমুদ্রপথে ইউরোপে ঢোকার প্রধান পথ ইতালি। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার এ পথকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথ বলা হয়ে থাকে।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন