স্টাফ রিপোর্টার:
২৫ যুক্তি তুলে ধরে রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় বাতিল চেয়ে আপিল করবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনও চাইবেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আপিল আবেদনে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চাওয়া হবে বলে এসময় জানিয়েছেন তিনি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। আপিলের সব প্রস্তুতি চলছে। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকূফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বলা হচ্ছে-এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেইসঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকেরা। এছাড়া রায়ের ক্ষেত্রেও ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার