Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে চিনির দাম এক টাকাও বাড়বে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

admin

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
রমজানে চিনির দাম এক টাকাও বাড়বে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এস আলমের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো কারণে বাজারে চিনির সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি ব্যবসায়ীদের বলছি, তারা যেন সংকটের অপচেষ্টা না করেন। মিল গেইট থেকে রমজানের আগে এক টাকাও দাম বাড়বে না চিনির মূল্য।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কলোনি বাজার পলিটেকনিক মাঠে টিসিবি আয়োজিত টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় আমি দেখছি দু-এক জায়গায় চিনির দাম বাড়ানোর অচেষ্টা হচ্ছে, বিক্রেতারা কেউ যেন সেটা না করেন। কারণ মিলগেটেও চিনির দাম এক টাকাও বাড়বে না। দেশের সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীরা কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনোই চাই না পুলিশের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করতে। কিন্তু বাধ্য হই ব্যবসায়ীদের কারণে। এজন্য পণ্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেয়া হচ্ছে। রমজানেও সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ইফতার করতে পারে সেজন্য চিনির দাম ৩০ টাকা কমিয়ে ৭০ টাকাই রাখা।

এসময় গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে গ্রাহকদের অনেক সময় পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। ফ্যামেলি কার্ডধারীদের আবারো তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৭০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি।

টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন