স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির হয়ে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও শহিদ জিয়া ও খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক আদর্শ মানেন রেজা কিবরিয়া। নিজেকে শহিদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার ভক্ত দাবি করে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রশংসা করেছেন তিনি। সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নিজের রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা।
নিজের পছন্দের রাজনৈতিক নেতা ও দল নিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি কখনো লুকাইনি— আমি ব্যক্তিগতভাবে শহিদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ভক্ত। আমি মনে করি, তাদের মতো সাহসী ও সৎ নেতা এই দেশ কোনো দিন পায়নি। আমি তাদের খুব শ্রদ্ধা করি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘শহিদ জিয়াউর রহমানকে হেয় করার অনেক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণ এগুলো মেনে নেয়নি। উনার ছবি মুছে ফেললেও তারা এই ছবিগুলো আবারও ফেরত আনবে। যাকে আওয়ামী লীগ তুলে ধরার চেষ্টা করেছে এখন তার ছবি ময়লার ভাগাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের যেই ঘৃণা ও রাগ আওয়ামী লীগের ওপর। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর না, তাদের বংশের ওপরও জনগণের প্রচুর রাগ আমরা দেখতে পেয়েছি। যেভাবে মূর্তি ভেঙেছে, ছবিগুলো ছেঁড়া হয়েছে। এটা জনগণের ক্ষোভ জনগণের রাগ। এটা ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই। যতই উনি সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, দেশটা হলো জাতির পিতার বা অনেক কিছু বলে। এগুলো আসলে জনগণ আর মানে না।’
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঐক্যফ্রন্ট গণফোরামে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। পরে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিয়ে আহ্বায়ক হন তিনি। যদিও পরে সেখান থেকে সরে আসেন রেজা কিবরিয়া। তাই প্রশ্ন ছিল— কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন তিনি।
যেই প্রশ্নের উত্তরে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের দলের নামটা পাল্টিয়ে এটাকে গণঅধিকার পার্টি বলা যেতে পারে। সেখান থেকেই আমি নির্বাচন করব। আমরা কার সঙ্গে থাকব বা কার সঙ্গে যোগ দেব, সেটি ভবিষ্যতে পার্টির নেতারা ঠিক করবেন।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও বিএনপিতে যোগ বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘সরাসরি বিএনপিতে যাওয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই আমাদের। তাকে (তারেক রহমান) যেই মামলায় জড়িয়েছে, আমার মনে হয় সেখানে অনেক ত্রুটি রয়েছে। আর আওয়ামী লীগের বিচারপতিরা কেমন বিচার করে, সেটি তো আমরা দেখেছি। কাজেই আমাদের দেখতে হবে, আইনিব্যবস্থায় তাকে ফেরত আনার কি ব্যবস্থা করা যায়। শহিদ জিয়াউর রহমানের ছেলে হিসেবে তারেক রহমানের মা ও বাবাকে মানুষ যে রকম শ্রদ্ধা করে, সেটার সে একটা অংশীদার হবে। আর এটা কেবল বাংলাদেশের নিয়ম নয়, দুনিয়াজুড়েই এমনটি হয়। কাজেই উনি এই সম্মান ও ভালোবাসাটা পাবেন।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার