Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ৭২-এর সংবিধানের বিধান ফিরিয়ে আনতে রিট

admin

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪ | ০২:১৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪ | ০২:১৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ৭২-এর সংবিধানের বিধান ফিরিয়ে আনতে রিট

স্টাফ রিপোর্টার:
নির্বাহী বিভাগের হাতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার আবেদন করা হয়েছে এতে। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপড় ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হবে—শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১-এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। রিট আবেদনে ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারী) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাকেও। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির এ রিট দাখিল করেন।

রিটে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এছাড়া পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারছেন না। এছাড়া রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়। যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে।

রিট আবেদনে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের ২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তারিখের আদেশ প্রতিপালনে অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন