স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘জামিয়া শহিদ আবু সাঈদ’ নামে করে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। এই মাদ্রাসাটি আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে তার কবরের পাশে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শনিবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।
হেফাজতের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, জালেম শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জনে উলামায়ে কেরামের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে। আগামীতে এই জমিনে কোনো জালিমকে ছাত্র জনতা বরদাশত করবে না।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিস্থাপন করতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাদ দিয়ে নতুন পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
এসময় তিনি শহিদ আবু সাঈদসহ ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘জামিয়া শহিদ আবু সাঈদ’ নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
বিভাগীয় গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ।
গণসমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গণহত্যার শিকার হয়েছে। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। হাসিনাকে ধরে এনে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ সবাইকে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে।
এর আগে মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধিদল আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জানায়।
এসময় হেফাজতের পক্ষ থেকে নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার