বিয়ানীবাজার সংবাদদাতাঃ
দৈনিক জালালাবাদী সম্পাদক ও প্রকাশক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিককে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যাচার ও বিরূপ মন্তব্যের জেরে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিক আব্দুল খালিক বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সাইবার আইনের ২৫/২৭/২৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মাননীয় আদালত বাদীর বক্তব্য ও তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার মেওয়া গ্রামের আজমান আলীর পুত্র জামিল আহমদ (২৫) ও জাবির আহমদ (২২) এবং মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র আজমান আলী (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৭ আগস্ট অভিযুক্ত জামিল আহমদ তার নিজ নামীয় ‘জামিল আহমদ’ নামক ফেইসবুক আইডি থেকে সাংবাদিক আব্দুল খালিককে নিয়ে একটি পোষ্ট করে। ওই পোস্টটি তার আপন ভাই জাবির আহমদ শেয়ার করেন। এতে আব্দুল খালিকের ছবি দিয়ে তাকে নিয়ে নানা মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এই ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুল খালিক আদালতের আশ্রয় নিয়ে মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিবাদীগণের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিক আব্দুল খালিকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে জামিল আহমদ গং পরবর্তীতে উক্ত জায়গা জমির জের ধরেই বিবাদীগন সাংবাদিক আব্দুল খালিককে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিগত ০৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে বিবাদীগন ভাড়া করা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাদীর মালিকানাধীন ভূমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আব্দুল খালিক গত ১২ই আগষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দারস্থ্য হন।
উল্লেখ্য, জমিজমা নিয়ে বিরুধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন থেকে সাংবাদিক আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সম্প্রতি সময় বারবার তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৫ সালে আব্দুর খালিকের বাড়ির আশপাশে মাদকদ্রব্য রেখে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে ফাসানোর চেষ্ঠা চালায়। তবে পরবর্তীতে তারা ব্যর্থ হয়। এর ধারাবাহিক ভাবে তিনি ও তার পরিবার ক্রমাগত মামলা হামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে এই সব জমিজমা নিয়ে মাননীয় আদালতের দেয়া একাধিক রায় ও ডিগ্রী সাংবাদিক আব্দুল খালিক গংদের পক্ষে রয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার