স্টাফ রিপোর্টার:
রাউজানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের দুটি মামলায় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম আদালত শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে ফজলে করিমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার চিকিৎসা এবং কারা বিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক সংসদ সদস্যের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন ও প্রিজন ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোট পরিদর্শক জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাউজান থানায় সম্প্রতি হওয়া মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। একই সঙ্গে আরেক মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন শুনানি শেষে ফজলে করিমকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
আদালত রাউজান নোয়াজিশপুরে মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় ফজলে করিমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারা বিধি অনুযায়ী চিকিৎসা এবং ডিভিশন দিতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নগরের আরও তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
নগর পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন এ এ এম হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, নগরের পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানার দুই মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখান। পাঁচলাইশের মামলাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের এবং চকবাজার থানার মামলাটি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক নুরুল আলম হত্যা মামলা।
একই এজলাসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর চান্দগাঁও থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাইমন হত্যা মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে আদালত শুনানির জন্য পরবর্তী সময়ে দিন ধার্য করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার