স্টাফ রিপোর্টার:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নয় বছর এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকাল তিনটার পর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এ রায় ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
দুদকের করা এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল পলাতক এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত গত ২৭ জুলাই রায়ের ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। তখন তারেক রহমান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি।
লন্ডনে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হন তারেক। মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ নেন তিনি।
অন্যদিকে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। প্রবাসে যাওয়ার সময় ছুটি নিয়ে গেলেও পরে আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন।
দুদকের এ মামলাটিসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলায় সাজার রায় এসেছে। তারেক বিদেশে থাকা অবস্থায়ই মামলাগুলোর রায় হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় তার।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার