Daily Jalalabadi

  সিলেট     শনিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ের চেয়ে মেয়ে বড় ভাবছেন, এও সম্ভব!

admin

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০১:২৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০১:২৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মায়ের চেয়ে মেয়ে বড় ভাবছেন, এও সম্ভব!

স্টাফ রিপোর্টার:
মায়ের জন্ম ১৯৫৭ সালে। আর মেয়ের জন্ম ১৯২৫ সালে। অর্থাৎ মায়ের জন্মের ৩২ বছর আগেই মেয়ের জন্ম হয়েছে। ভাবছেন, এও সম্ভব! চোখ কপালে ওঠার মতোই সংবাদ।

বাস্তবে অসম্ভব হলেও সরকারি খাতায় মা-মেয়ে দুজনের বয়সেই এমন গরমিল রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়ে মোসা. ফেরদৌস।

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী মা সালেহা খাতুনের স্বামীর নাম আব্দুল জলিল সিকদার এবং তার জন্ম: ২ মার্চ, ১৯৫৭। অন্যদিকে মেয়ে মোসা. ফেরদৌসের তার স্বামী মিজান। জন্ম: ১৯২৫। সেই হিসাবে মায়ের চেয়ে মেয়ের বয়সের ব্যবধান ৩২ বছর। অর্থাৎ মায়ের চেয়ে মেয়ে বড়। এ ঘটনা ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ইউনিয়নের (৮ নম্বর ওয়ার্ড) দেউলা শিবপুর গ্রামে।

তবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই মেয়ের ভাই ইমরান জানান, মা সালেহা খাতুনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ। আর মেয়ে মোসা. ফেরদৌসের জন্ম ১৯৯০ সালের ২ মার্চ। ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখ করা আছে ১৯২৫ সাল। এতে মায়ের চেয়ে ৩২ বছরের বড় বনে গেছেন মেয়ে ফেরদৌস। জাতীয় পরিচয়পত্রে এই ভুলের কারণে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভুক্তভোগী এই পরিবার।

এ বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘২০০৮ সালে এনআইডি কার্ডের ছবি তোলার সময় প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহ করি। পরবর্তীতে যখন এনআইডি কার্ড হাতে পাই তখন দেখি আমার মায়ের চেয়ে আমার বয়স ৩২ বছর বেশি। এটা সমাধানের জন্য অনেকের কাছে যাই। তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। কয়েক মাস আগে সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। এখনও ঠিক হয়নি। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছোটখাটো ভুল স্বাভাবিক বিষয় হলেও এত বড় ভুল গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ভুলের কারণে আমাকে বিভিন্ন সময় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ‘অনেকের ভোটার আইডিতে অনেক ধরনের ভুল আছে। সমস্যা নিয়ে কেউ এলে তাদের সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি। ভোটার হালনাগাদের সময় যারা তথ্য সংগ্রহ করেছে তখন ভুলবশত এমন হতে পারে।’

ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্যাহ মৃধা বলেন, ‘অসাবধানতাবশত এমন ভুল। ভুক্তভোগীর বিষয়টি সমাধানে সহযোগিতা করবো।’

বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুর হোসেন খান বলেন, ‘ভুল ডাটা এন্ট্রির জন্য এমন হতে পারে। আবেদন করা থাকলে প্রক্রিয়া শেষে সংশোধন হয়ে যাবে।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন