আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। ইসরাইলের প্রতি এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল।
লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা চলাকালে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের সাবেক রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন। বক্তৃতায় গাজা যুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী। কিন্তু রিয়াদের অবস্থান হল “যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ইসরাইল স্বীকার করে, তবেই সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা ভাববে’’। ’
‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গেই নয়, বাকি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেও ইসরাইলের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
সৌদি আরবের এই কূটনীতিক আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি আরবের কাছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রাথমিক শর্ত, কিন্তু…ইসরাইলের পক্ষ থেকে দেশটির পুরো সরকার বলছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলতে কিছু নেই।’
এ সময় ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলকে সৌদি আরবের নীতি মনে করিয়ে দেন প্রিন্স তুর্কি। আর সেটা হল, ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে সৌদি আরব।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া গাজা ইস্যুতে ইসরাইলের কোনো পরিকল্পনা মেনে নেবে না তারা।
আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত শাসনামলে বেশ কিছু উদ্যোগ নেই মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের ‘আব্রাহাম অ্যাকড’ নামে একটি চুক্তি হয়।
অনেক বিশ্লেষক দাবি করে আসছে, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে সৌদি আরবের অগ্রগতি থামাতে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার