নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণ যেভাবে কাজ করছে বেগম খালেদা জিয়া সেটি অব্যাহত রাখতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বার্তা হচ্ছে এটা যে, দেশবাসী যেন ভালো থাকে তাদের মঙ্গলের জন্য। গণতন্ত্রের জন্য তারা যেভাবে কাজ করছে সেই কাজ যেন তারা করে সেটাই তিনি বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একই সঙ্গে তিনি আপনাদের (সাংবাদিকদের) ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সৌজন্য এই সাক্ষাতে তিনি আমাদের কুশল জানতে চেয়েছেন এবং সমগ্র দলের যারা কারাগারে আছেন তাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের যে কষ্ট সে সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। দেশের হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা সেগুলো সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, অর্থনীতির অবস্থা যে দিন দিন খারাপ হচ্ছে সেই বিষয়গুলো তিনি অবহিত আছেন। একই সঙ্গে আবহাওয়া যে প্রচণ্ড দাবদাহ গেল এ বিষয়টাও উল্লেখ করে তিনি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৈশ্বিক জলবায়ুর যে পরিবর্তন হচ্ছে তা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আপনারা জানেন যে, উনি কারাগারে যাওয়ার পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ আমাদের অনেক সীমিত ছিল। তিনি বাসায় আসার পরে এই ঈদের দিনগুলোতে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। আমাদের সঙ্গে আলোচনা অনেকদিন পর, সেজন্য সবাই কিছুটা আবেগাপ্লুত ছিলাম। আমরা আশা করি যে, খুব শিগগিরই তার সঙ্গে আরো ঘন ঘন সাক্ষাৎ হবে এবং সামনে বেরিয়ে আসবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এখনো বেশ অসুস্থ, এখনো তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।
মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান সাক্ষাৎ করেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। এক ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন।
‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে’ ‘ফিরোজার দোতলায় দলীয় প্রধানের সঙ্গে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি প্রধানকে।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৭ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাৎ পান না।
ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ নিকট স্বজনরা ফিরোজায় আসেন। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়াকে এবার ফিরোজায় ঈদ করেছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার