কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন চাঁদনী খাতুন (১৭)। বিয়ের ১১ মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদনীর স্বামীর নাম নাসির হোসেন (২০)। চাঁদনী একই ইউনিয়নের বড় মাজগ্রামের কাঠমিস্ত্রি সুরাফ শেখের মেয়ে।
তরুণীর স্বজনদের ভাষ্য, ভালোবেসে বিয়ে করা নিয়ে শাশুড়ি সব সময় কটু কথা শোনাতেন। ফলে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন; বিষয়টি স্পষ্ট নয়। চাঁদনী কীভাবে মারা গেছেন, তা তাঁরা জানেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ মাস আগে বড় মাজগ্রামের চাঁদনী খাতুন ও মাজগ্রামের নাসির হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। দুই পরিবারই সেই বিয়ে মেনে নেয়। চাঁদনী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্বামীর বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
চাঁদনীর বাবা সুরাফ শেখ বলেন, শাশুড়ি সব সময় তাঁর মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। হঠাৎ মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি জামাতার বাড়িতে এসেছেন। এসে দেখেন, মেয়ের লাশ বারান্দায় রাখা হয়েছে। কীভাবে মেয়ে মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না।
চাঁদনীর ছোট মামা আবদুল হান্নান বলেন, ‘জামাই খুব ভালো, কিন্তু শাশুড়ি সারাক্ষণ মানসিক নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে কয়েকবার পারিবারিকভাবে সালিস হয়েছে। শুনেছি, চাঁদনী আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু গলায় ফাঁস লাগানোর রশি ও নাকের ফুল পাওয়া যাচ্ছে না।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁদনীর শাশুড়ি নাছিমা খাতুন বলেন, তিনি তাঁর ছেলের বউকে খুব আদর করতেন। কোনো দিন ঝগড়া হয়নি তাঁদের। তিনি গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। সকালে মরার খবর পেয়ে তিনি এসেছেন।
চাঁদনীর স্বামী নাসির হোসেনের ভাষ্য, সকালে তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘুম ভাঙার পর দেখেন, তাঁর স্ত্রী ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন। তাঁদের সংসারে কোনো অশান্তি ছিল না বলে তাঁর দাবি।
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাপস কুমার পাল বলেন, লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার