স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডের শিকার ফয়জুর রহমান (৬৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ফয়সল আহমদ (৩০) নামের এজাহারনামীয় আসামীকে কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিয়ানীবাজারের শেওলা ইউনিয়নের শালেস্বর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ফয়জুর রহমান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেওলা ইউনিয়নের শালেশ্বর গ্রামের ফয়জুর রহমান ও তার চাচাতো ভাই নজরুল ইসলামসহ অন্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। গত ৮ মার্চ জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরতেই ফয়জুর রহমান দেখতে পান তার বসতবাড়ির পেছনের রাস্তায় চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম গংরা ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ফয়জুর রহমান ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে নজরুল ইসলাম, ছেলে ফয়সল আহমদ ও মঞ্জুর আহমদ ফয়জুর রহমানকে মারধর শুরু করেন। ফয়জুর রহমানের মাথায় আঘাত তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷
খবর পেয়ে ফয়জুর রহমানের সন্তান এবং অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এর পরে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। আহত ফয়জুর রহমান ওসমানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ফয়জুর রহমানের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে হামলাকারি ফয়ছল আহমদ, মঞ্জুর আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ও নজরুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগমকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার